ভুয়ো কল লেটার কাণ্ডে মূল চক্রী এখনও অধরা

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে ধরা পড়া ভুয়ো চাকরি প্রার্থী প্রীতম ঘোষ আপাতত পুলিশি হেফাজতে। তবে এই ঘটনায় মূল যে অভিযুক্ত তিনি এখনও অধরা। তদন্তের স্বার্থে মূল অভিযুক্তের নাম জানাতে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় চাকরিপ্রার্থী প্রীতম ঘোষের সঙ্গে পেশায় স্কুল শিক্ষক বিষ্ণু মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, সরকারি নথিপত্র জাল-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজুও হয়েছে। এদিকে তদন্তে নেমে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ বিষ্ণু মাহাতোর  কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন মিলেছে তাতে পাওয়া গিয়েছে একাধিক চাকুরি প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড।

বিধাননগর পূর্ব থানার সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থী প্রীতম ঘোষের বাবা দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল নেতা ইসমাইলের পরিচিত। সূত্রে যা খবর মিলছে, এই তৃণমূল নেতাই নাকি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে প্রীতম ঘোষের বাবার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মোটা টাকার বিনিময়ে চুক্তিও হয় দুপক্ষের। চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে টাকা দেওয়ার। তবে এর সঙ্গে এটাও ঠিক হয়, ইন্টারভিউয়ের প্রথমে দিতে হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ভুয়ো কল সেন্টার নিয়ে এসে ধরা পড়া গেলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রীতম ঘোষ। শনিবার সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মূল দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ভবনে দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ হয়। যুবকের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। তারপর দেখা যায়, যুবক তাঁর সঙ্গে যে কল লেটার এনেছে সে তাতে স্বাক্ষর নেই। এমনকি ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। এরপই  প্রীতমকে আটক করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তার করা হয় বিষ্ণু মাহাতোকেও। এদিকে বিধাননগর পূর্ব থানা সূত্রে খবর, তদন্তাকারী পুলিশ আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই প্রীতমের ফোন থেকে এক অভিযুক্তের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − six =