রং খেলুন চোখ বাঁচিয়ে, বিপদ এড়াতে কী করবেন, পরামর্শ চক্ষু বিশেষজ্ঞের

কলকাতা: হোলি মানেই রঙের উৎসব। আনন্দ, হুল্লোড়, রং খেলা। এই আন¨ই মাটি হয়ে যেতে পারে সামান্য অসাবধানতায়। বাজার চলতি রঙে মেশানো থারে রাসায়নিক। সেই রঙ যদি কোনও ভাবে ঢুকে যায় চোখে কিম্বা মুখে, ঘটকে পারে বিপদ। কিন্তু রং নিয়ে খেলতে গেলে, চোখে ঢুকে যেতেই পারে রং। তখন কী করবেন সে ব্যাপারেই পরামর্শ দিলেন কলকাতার ড. আগরওয়ালস আই ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট অপথ্যালমোলজিস্ট ডাক্তার মধুর এ হিঙ্গোরানি।

তিনি জানান, সিনথেটিক ও রাসায়নিক মিশ্রিত রং চোখের প্রচণ্ড ক্ষতি করতে পারে। এসব রঙে থাকে পারদ, অ্যাসবেস্টস, সিলিকা, মাইকা ও সিসা। যেগুলি বিষাক্ত। ক্ষেত্র বিশেষে এই রঙ থেকে দৃষ্টিহীনতাও ঘটতে পারে। সে কারণেই তাঁর প্রথম পরামর্শ ভেষজ বা প্রাকৃতি রং নিয়ে উৎসবে মাতুন। তারপরেও যদি রাসায়নিক মিশ্রিত রং চোখে ঢুকে যায়, তাহলে কোনওভাবেই চোখ ঘষবেন না। এর ফলে কর্নিয়েল অ্যাব্রেসান ও কর্নিয়ার ক্ষতি হতে পারে। চোখে সংক্রমণ হতে পারে। বরং হাত পরিষ্কার করে তালুভর্তি জল নিয়ে তা চোখ রেখে ধীরে ধীরে চোখের পাতা পিটপিট (ব্লিঙ্কিং) করতে হবে। আমাদের উচিত নয় চোখের ভেতর জলের ঝাপটা দেওয়া, কেননা এতে আঘাত ঘটতে পারে। চোখ থেকে কিছু দূর করার জন্য কখনও রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন না। এতে শুধু খারাপই হবে।’

কনট্যাক্ট লেন্সে হাইগ্রোস্কোপিং উপাদান আছে অথবা সহজ ভাষায় বলতে গেলে এগুলি জল শোষণ করে, সুতরাং যদি কোনো জলীয় রং চোখে যায়, সেটি অ্যালার্জি ও সংক্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভাল সমাধান হল চশমা ব্যবহার করা অথবা ডিসপোজেবল কনট্যাক্স লেন্স ব্যবহার করা। যদি চোখে কোনও জ্বালাপোড়া দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দেওয়া যায়।
চিকিৎসক মধুর বলেন, ‘যদি চোখে কোনও আঘাত বা ক্ষতির সংকেত পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের উচিত তৎক্ষণাৎ চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করা। আমরা হয়তো বাধ্য হই কোনো হোম আই রেমেডি লাগাতে অথবা হাতের কাছে লভ্য কোনো আই ড্রপ অথবা অয়েনমেন্ট লাগাতে। কিন্তু এতে উপকারের তুলনায় ক্ষতি হতে পারে। স্থায়ী চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি, জ্বালা, ব্যথা হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সে জন্য চোখে চশমা বা সানগ্লাস পরে নিতে পারেন। এতে রং ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 2 =