নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: শীতের আমেজ মেখে দ্বারকেশ্বর নদের চর ম ম করছে মুড়ি ভেজার গন্ধে। নানান উপকরণ দিয়ে মুড়ি ভিজিয়ে সকলে মিলে খাওয়ার ধুম মুড়ি মেলায়। প্রতি বছর মাঘ মাসের ৪ তারিখ বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া দ্বারকেশ্বর নদের সঞ্জীবনী ঘাটে হাজার হাজার মানুষের মুড়ি খাওয়ার ধুম প্রমাণ করে মুড়ির টান কতটা লালমাটির জেলার মানুষের।
বাঁকুড়া মানেই মুড়ি এটা প্রমাণ করে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলার জনপ্রিয়তা। মুড়ির সঙ্গে লালমাটির জেলার আত্মিক যোগ কতটা নিবিড় তাও প্রমাণ করে হাজার হাজার মানুষের একসঙ্গে বসে মুড়ি খাওয়ার চিত্র। প্রতি বছর ৪ মাঘ বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদের সঞ্জীবনী ঘাট মুড়ির গন্ধে ম ম করে। কেঞ্জাকুড়া সহ আশপাশের ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষ ছুটে আসে মুড়ি মেলায়। শুধু গ্রামের মানুষ নয়, আত্মীয় পরিজনেরাও সামিল হয় মুড়ি মেলায়।
নানান উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে বসে গল্প করতে করতে মুড়ি খাওয়ার জমাটি আনন্দ চেটে পুটে নেন সকলে। বর্তমানে মুড়ির সঙ্গে সেলফি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে মুড়ি মেলার আনন্দ ভাগ করে সকলের সঙ্গে। তবে মুড়ি মেলার সৃষ্টির ইতিহাস বলছে, সঞ্জীবনী আশ্রমে এক সাধকের হরিনাম সংকীর্তন দেখতে আসতেন আশপাশের গ্রামের মানুষ। রাতভোর নাম সংকীর্তন দেখে সকালে বাড়ি ফেরার পথে দ্বারকেশ্বর নদের পাড়ে বসে মুড়ি খেয়ে বাড়ি ফিরতেন। আর এর থেকেই ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে কেঞ্জাকুড়া দ্বারকেশ্বর নদের মুড়ি মেলা। এইভাবেই বছর বছর কেঞ্জাকুড়া মুড়ি মেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই মুড়ি ভেজার গন্ধে ম ম করছে কেঞ্জাকুড়ার সঞ্জীবনি দ্বারকেশ্বর নদের ঘাট। সকালে মুড়ি খেয়ে সঞ্জিবনী আশ্রমের মেলা দেখে সন্ধেবেলায় বাড়ি ফেরেন সকলে।