আবার সুপার অ্যাকটিভ মোডে বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রকাশ্য রাস্তায় দুই মন্ত্রীর বচসার ঘটনায় এবার গ্রাউন্ড জিরোয় নেমে তথ্য তালাশ করতে যাচ্ছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। মঙ্গলবার রাতেই কার্যত নজিরবিহীনভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় খুলে আম সদলবলে বচসায় জড়িয়েছেন দুই মন্ত্রী। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। অন্যজন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। গতরাতের সেই ঘটনায় ভোটের মুখে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। আর এসবের মধ্যেই এবার কোচবিহারে যাচ্ছেন রাজ্যপাল বোস। গতরাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তার সত্যানুসন্ধানে নামছেন তিনি। এরপরই বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দিনহাটায় ২৪ ঘণ্টার বনধের ডাকও দেওয়া হয়। সূত্রে খবর, এই বনধের প্রভাব মিশ্র পড়েছে দিনহাটার জনজীবনে।
দিনহাটার ঘটনায় এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দিনহাটার ঘটনায় কোচবিহারের জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোও হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে, এমনটাই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। এরই পাশাপাশি দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। তবে মূলত নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে নাকি, কী কারণে এই ঘটনা গোটা বিষয় সম্পর্কে জানতে চায় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে রাজ্যপাল সরেজমিনে দেখতে কোচবিহার রওনাও হয়েছেন। কোচবিহার যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে রাজ্যপাল বলেন, ‘দিনহাটায় রাজনৈতিক আবহাওয়া ভাল নয়। দিনহাটার ঘটনা রিপোর্ট তলব করেছিলাম এখনও পাইনি। রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। সামনেই নির্বাচন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমি ওখানে রিয়্যালিটি চেক করতে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে, প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারের দিনহাটায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীনও দিনহাটা গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর এবার ফের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন দিনহাটা গেলেন রাজ্যপাল। এদিকে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট অনুসারে প্রথম দফায় ভোট হবে কোচবিহারে। ইতিমধ্যেই বুধবার তার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রায় ২৩৫ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হতে পারে প্রথম দফার ভোটে। প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট হবে। কিন্তু তার আগেই দিনহাটা নিয়ে সতর্ক নির্বাচন কমিশন।