আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আজ ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

উপত্যকাতেও দুর্নীতি, আর সেই দুর্নীতির খোঁজেই কোমর বেঁধে নেমেছে ইডি । বিহারের তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের পর এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার র‍্যাডারে কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তলব করেছে ইডি।  জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক বেনিয়মের  তদন্তেই সমন পাঠানো হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। আজ, ১১ জানুয়ারি তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার রাতেই সূত্র মারফত জানা যায়, জম্মু-কাশ্মীরের প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লাকে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে হওয়া আর্থিক দুর্নীতিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে।

জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় চার্জশিট পেশ করা হয়। ওই মামলায় ফারুক ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ক্রিকেট সংস্থার ৪৩.৬৯ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে। ইডির দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারুক জেকেসিএ থেকে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি সরিয়ে ফেলেন। ২০২২ সালে প্রথম এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বরাদ্দ টাকা বিভিন্নভাবে হাতিয়ে নেওয়া হত। অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে যে টাকা জমা পড়ার কথা, তা অ্য়াসোসিয়েশনের অধিকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে এই আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল।

২০০১ থেকে ২০১২ সাল অবধি এই ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের অপব্যবহার করেছিলেন এবং বহু লোকজনকে নিয়োগ করেছিলেন, যারা বিসিসিআই-র তহবিল তছরুপ করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =