ইডি-র নজরে কুন্তলের ডায়েরি, তদন্তে উঠে আসছে এক সঙ্গীর নামও

কুন্তলের কালো-ধূসর ডায়েরির পাতায় পাতায় জড়িয়ে রহস্য, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, এই ডায়েরিতে চাকরি সংক্রান্ত হিসাবনিকাশ। কখন কার কাছ থেকে কত টাকা আসছে, কোন প্রার্থীর কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, সেসব ইডি জানতে পারে বলে সূত্রের খবর। পরবর্তীকালে জানা যায়, তাতে কিছু সাঙ্কেতিক অক্ষর রয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে, ডায়েরির পাতায় গানের প্যারোডিও লেখা। এই প্যারোডির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই প্যারোডিকেও তদন্তকারীরা হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কারণ, কুন্তল ঘোষ সম্পর্কে যা এখনও অবধি জানা গিয়েছে, তাতে তিনি গানও লিখতেন এবং তা মূলত প্রচারমূলক গান। যার মধ্যে রয়েছে অনেকের প্যারোডি গান।

এদিকে তদন্তকারীরা প্রথম থেকেই কার্যত নিশ্চিত, এত টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কোনও একজন জড়িত থাকতে পারেন না। ধাপে ধাপে এগিয়েছে এই ‘দুর্নীতি’র শিকড়। প্রসঙ্গত, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ১৯ কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন কুন্তল ঘোষ। পরে তদন্তে ইডি জানতে পারে, এই টাকার অঙ্কটা ১৯ কোটি নয়, ৩০ কোটি।আর এই তদন্ত যত এগোচ্ছে, রোজই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে হুগলি জেলার এই তৃণমূল যুব নেতা সম্পর্কে। ইডি সূত্রে খবর, এবার তদন্তকারীদের নজরে কুন্তলের ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি। আর সেখানেই বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে কুন্তলের ডায়েরির ওপরেও। যেখানে গানের প্যারোডি লেখা। ভুয়ো সার্টিফিকেট তৈরিতে কুন্তলের এক সহযোগীও ছিলেন বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে।তিনি অত্যন্ত দক্ষ কম্পিউটারে। কুন্তলের মিউজিক ভিডিয়ো ও শর্টফিল্মের জন্য তৈরি প্রোডাকশন হাউজেরও তিনি-ই পার্টনার বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ওয়েবসাইট ও ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে প্রচুর টাকা তুলেছেন কুন্তল। এখানেই শেষ নয়। ইডি-র তরফ থেকে এও দাবি করা হচ্ছে, প্রাথমিকের টেটের চাকরিকে হাতিয়ার করে একের পর এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা তোলেন এই যুব নেতা। বিকাশ ভবনে এক আধিকারিকের সঙ্গে সখ্যতার জোরেই ভুয়ো ইন্টারভিউও করার ব্যবস্থা করেন বলেও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + eight =