সন্দেশখালিতে সাম্প্রতিক অশান্তির পিছনে ইডি এবং আরএসএসের হাত রয়েছে। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে অর্থ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিকে রাজনৈতিক কারণে অশান্ত করার প্রসঙ্গ এনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে আরএসএসের ঘাঁটি আছে।
সন্দেশখলির অশান্তির নীল নকশা ফাঁস করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে টার্গেট শেখ শাহজাহান। ওকে টার্গেট করে ইডি ঢুকল। তারপরেই সবাইকে বের করে দিয়ে আদিবাসী-সংখ্যালঘুদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে দিল। কারও কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতেই পারে, যদি থাকে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, আমাদের তো মহিলা দল আছে ওখানে। পুলিশেরও একটা মহিলা দল আছে, ঘরে ঘরে যাচ্ছে, কার কী অভিযোগ শুনছে। শুনে এসে রিপোর্ট করার পর যদি কারও সমস্যা থাকে সেটা নিয়ে নিশ্চই আমরা কাজ করব। আগে তো আমায় জানতে হবে ব্যাপারটা কী। সন্দেশখালি আজকে নতুন নয়, ওখানে আরএসএস-এর একটা বাসা আছে।’
বিধানসভায় এদিন তিনি আরও বলেন, ওই এলাকা এমনিতেই অশান্তি প্রবণ। ৭-৮ বছর আগেও সেখানে একটা সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছিল। সেখানে মুখে মাস্ক পরে গোলমাল করা হচ্ছে। বহিরাগতরাই সন্দেশখালিতে এত গোলমাল পাকাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনে কোনও অন্যায়কে কোনওদিন প্রশ্রয় দিইনি। আমি উদ্যোগ নিয়ে রাজ্য কমিশন পাঠিয়েছি, প্রশাসনকে পাঠিয়েছি, ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং আপনারা দেখেছেন যারা মুখে মাস্ক পরে ছবি তুলছে, ধরাও পড়েছে, বিজেপির কর্মী, কী ভাবে তারা বাইরে থেকে নিয়ে এসে একটা এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে।’অন্যদিকে, এদিন চোপরার ঘটনা নিয়ে বিএসএফ-কেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএফ-এর কাজ কী? সীমান্ত পাহাড়া দেওয়া। চোপড়ায় ৪টি বাচ্চা মারা যায়, আজ মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আমাদের দল গিয়েছিল। এখানে ওরা ৩৩৪টি দল পাঠিয়েছে, তাহলে চোপড়ায় যদি ৪টি শিশু মারা যায়, শিশুদের জীবনের কী কোনও দাম নেই? সেই বিএসএফ-এর আমি শাস্তি চাই, যাদের জন্য বাচ্চাগুলো মারা গিয়েছে। কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিএসএফ আর কী করে বেড়াচ্ছে? আমাকে একজন বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, তার বিধানসভা এলাকায়, একটা মসজিদ আছে, ইমামকে টেনে হেঁচড়ে বের করেছে মুর্শিদাবাদে। এলাকায় এলাকায় গিয়ে গেরুয়া রঙের প্যাকেটে জিনিস বণ্টন করছে। কে তোমরা? তোমার কাজ সীমান্ত পাহাড়া দেওয়া, তোমার কাজ বিজেপির ক্যাম্প করা নয়। ভোটের আগে বিজেপির ক্যাম্প করছে বিএসএফ, এর জবাব কারা দেবে?’