নিজস্ব প্রতিবেদন, পাণ্ডবেশ্বর: দীর্ঘ দু’বছর আন্দোলনের পর আংশিক সাফল্যে খুশি জমির মালিকরা। ইসিএল আধিকারিকরা আন্দোলনকারী জমির মালিকদের প্রায় ৬০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ অ্যাপ্রুভ্যালের কাগজ লিখিত আকারে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এবিপিট কোলিয়ারির সিএম প্রজেক্টের আওতায় এলাকার প্রায় ২৪০ একর জমি অধিগ্রহণ নিয়েই দ্বন্দ্ব।
কোলিয়ারির আশপাশের গ্রাম কুমারডিহি, জোয়ালভাঙা এলাকার জমির মালিকদের দাবি, ইসিএল তাঁদের এই জমির আশপাশে দীর্ঘদিন আগেই অধিগ্রহণ করেছে। সেখানে কয়লা তোলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই, আর তার ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদের জমি। জমির মালিকদের দাবি, তাদের জমিগুলি অধিগ্রহণ করুক ইসিএল। এই নিয়েই দীর্ঘদিনের আন্দোলন। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন করেছেন গ্রামবাসীরা। ইসিএলের আধাকারিকরা জমির মালিকদের বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিলেও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ।
সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে কুমারডিহি এবিপিট কোলিয়ারির সিএম প্রজেক্টের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিক্ষুব্ধ জমির মালিকরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা কোলিয়ারির উৎপাদন ও পরিবহণের কাজ বন্ধ থাকার পর ঘটনাস্থলে আসে ইসিএলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী থেকে সিআইএসএফ। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন কোলিয়ারির এজেন্ট রাজকিশোর প্রসাদ সিং ও বাঁকোলা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় সাহু। ইসিএল আধিকারিকরা আন্দোলনকারী জমির মালিকদের প্রায় ৬০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের অ্যাপ্রুভ্যালের কাগজ লিখিত আকারে তাঁদের হাতে তুলে দিলে আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করেন জমির মালিকরা।
আন্দোলনকারী জমির মালিক আবিরলাল মুখোপাধ্যায়, সনৎ মুখোপাধ্যায়, জগন্নাথ রায় চৌধুরীরা জানান, আপাতত দু’ বছর পর সাফল্য এল। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৬০ শতাংশ জমির সমস্যা কাটল। তবে বাকি ৪০ শতাংশ জমির সমস্যা সমাধানে ইসিএল আধিকারিকরা কিছুদিন সময় চেয়েছেন। তবে এই সময়সীমার মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ফের জমি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়র হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।