টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার। ডার্বির আগে হতাশা বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের। ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাওয়াও কঠিন। এখান থেকে প্লে-অফের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গোয়ার মাঠে জোড়া লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমত, গোয়াকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট। সেক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবলে বেঙ্গালুরু এফসিকে সরিয়ে ছয়ে উঠে আসত ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ত, রবিবার যুবভারতীতে বড় ম্যাচ। তার আগে জয়, দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখতে পারতো। কোনও লক্ষ্যই পূরণ হল না।
মরসুমের শুরু থেকে দলের খেলা দেখে আশায় বুক বাঁধছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরাও। প্রত্যাশা ছিল, সময় পেলে এই দল সাফল্য এনে দেবে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুর্দান্ত খেলছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের টিম। তার আগে ডুরান্ড কাপে রানার্স হয়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, দীর্ঘ ১২ বছরের ব্যবধানে সর্বভারতীয় স্তরের ট্রফি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি প্রত্যাশা তৈরি করেছিল।
এফসি গোয়া গত পাঁচ ম্যাচে জয়হীন ছিল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয়ে ফেরার লক্ষ্যে সফল এফসি গোয়া। দু-দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন নোয়া। ম্যাচের ৪২ মিনিটে নোয়ার গোলটিই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। নোয়াকে যেন গোল করার সুযোগ করে দেওয়া হল। বল নিয়ে এগনোর সময় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা কি ভেবেছিলেন, অফসাইড হবে? হয়তো এমনটাই। না হলে এ ভাবে নোয়াকে অ্যালাউ করার কারণ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে সুযোগ যে আসেনি, তা নয়। গোয়ার বিরুদ্ধে ২৬টি শট নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ ভাগ। এর মধ্যে ৭টি শট টার্গেটে। স্কোর লাইনে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টোদিকে, এফসি গোয়া একডজন শট নিলেও টার্গেটে ছিল মাত্র ১টি। আর তাতেই তিন পয়েন্ট। ম্যাচে নির্ণায়ক গোলের জন্য সেরার পুরস্কার জেতেন এফসি গোয়ার নোয়া। এই ম্যাচ কিংবা প্লে-অফের সম্ভাবনা ভুলে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য আপাতত কলকাতা ডার্বি জয়।