মিনি ডার্বি জিতে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল ইস্টবেঙ্গল

জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। কিছুটা হলেও স্বস্তি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যোগ দেওয়ার পর থেকে কোনও মরসুমই দুর্দান্ত কাটেনি। এ বারও শুরুটা হয়েছিল প্রচণ্ড হতাশায়। টানা আধডজন ম্যাচ হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। মাঝে অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নেওয়ার পর পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছিল। যদিও এরপর ফের খেই হারায় ইস্টবেঙ্গল। অঙ্কে প্লে-অফের দৌড়ে থাকলেও ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার গত ম্যাচে হারের পরও জানিয়েছিলেন, তাদের নজর এখন থেকেই এএফসির টুর্নামেন্ট এবং সুপার কাপে। আইএসএলে প্রথম ছয়ে থাকার আশা যেন ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু ৩-১ ব্যবধানে মিনি ডার্বি জয় অঙ্কে টিকিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গলকে।

কলকাতা মিনি ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচে শুরুতে না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেই বড় ম্যাচেরই স্বাদ পাওয়া গেল। শেষ অবধি ৩-১ ব্যবধানে জয় ইস্টবেঙ্গলের। জয়ের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাদের পারফরম্যান্স। আনোয়ার আলি ফিরলেন। দুর্দান্ত খেললেনও। মুগ্ধ করা পারফরম্যান্স পুরো টিমের। প্রথমার্ধে মহেশের গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ডার্বির স্বাদ।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে মহেশের পর লিড বাড়ে সাউল ক্রেসপোর সৌজন্যে। ফ্রাঙ্কার গোলে ম্যাচে ফেরে মহমেডান। কিছুটা হলেও ম্যাচে প্রাণ ফেরে। বিশেষ করে ৭২ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের গোল লাইন সেভ! বিপদের মুহূর্ত তৈরি হলেও পরিস্থিতি সামলে দেন আনোয়ার আলি। মেসি বৌলি ও দিয়ামান্তাকোস জুটিতে একঝাঁক সুযোগ তৈরি হয়। তা সাফল্য না পেলেও পরবর্তী ম্যাচগুলির জন্য আশা জাগাবে। ম্যাচের শেষ দিকে ডেভিড লালহানসাঙ্গা আরও একটি গোল করেন।

ম্যাচ শেষে নাওরেম মহেশ জানান, দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সাউল ক্রেসপো নামার পর ইস্টবেঙ্গলের ভারসাম্য বেড়েছে, সে কথাও জানান মহেশ। প্লে-অফ নিয়ে প্রশ্ন করতেই বলেন, ‘এটা আমাদের হাতে পুরোপুরি নেই। আমরা ম্যাচ ধরে এগবো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − four =