সুযোগ নষ্টে হার ইস্টবেঙ্গলের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্লে-অফ আর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। মনে করা হয়েছিল, ঘরের মাঠে আজ চেন্নায়িন এফসির বিরুদ্ধে আজ জিততে পারলে সম্ভাবনা থাকতেই পারে। দু-দলের পরিস্থিতি একই ছিল। জিতলে প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে। ঘরের মাঠে নামায় অ্যাডভান্টেজ ছিল ইস্টবেঙ্গলই। তার উপর চোট সারিয়ে ফিরেছেন সাউল ক্রেসপোও। দলে যোগ দিয়েছেন ক্য়ামেরুন জাতীয় দলের রাফায়েল মেসি। তাঁকেও নামানো হয়। কিন্তু চেন্নায়িনের কাছে ঘরের মাঠে হার। তাও আবার ০-৩ ব্যবধানে। পরিসংখ্যান বলছেন, আইএসএলে ঘরের মাঠে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার ইস্টবেঙ্গলের।

চোট যেমন একটা বড় সমস্যা, তেমনই কার্ড দেখার ক্ষেত্রেও এ মরসুমে ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্ডার লালচুননুঙ্গা এ মরসুমের আইএসএলে তিনটে হলুদ কার্ড দেখেছেন। এ দিন তিন নম্বর রেড কার্ডও দেখলেন। পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে না তাঁকে। এ দিনের হারের জন্য অবশ্য রেড কার্ডকে দায়ী করার জায়গা নেই। ম্যাচের শেষ দিকেই কার্ড দেখেছেন চুননুঙ্গা। কিন্তু শুরুতেই আত্মঘাতী গোল করলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।

ম্যাচের ১৩ মিনিটেই নীশু কুমারের আত্মঘাতী গোল এগিয়ে দেয় চেন্নায়িন এফসিকে ২১ মিনিটে চেন্নায়িনের হয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন উইলমার জর্ডন। প্রথমার্ধেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। এরপরও ঘুরে দাঁড়ানোর একঝাঁক সুযোগ পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাজে লাগানো যায়নি। ম্যাচ শেষে ইস্টবঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো স্বীকার করে নিলেন, তাঁর টিমের লেফ্ট সাইডে সমস্যা রয়েছে। সেদিক থেকেই বারবার আক্রমণে উঠেছে চেন্নায়িন এফসি।

চোট সারিয়ে ফেরা সাউল ক্রেসপো দুর্দান্ত একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু সুযোগ। ক্রেসপোকে নিয়ে অবশ্য অস্কার বলেন, ‘ও সবে চোট থেকে ফিরেছে। এমনটা হতেই পারে। দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নায়িনও ভালো ডিফেন্স করেছে।’ হারলেও এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে নিয়েছেন অস্কার। বলেন, ‘প্লেয়াররা সেরে উঠছে, এটাই পজিটিভ। এএফসির টুর্নামেন্টের আগে ফুল টিম পাওয়া গেলে খুশি হব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − twelve =