ডার্বি হেরে পরের মরসুমের ভাবনায় ইস্টবেঙ্গল

বড় ম্যাচ হারের সঙ্গে আইএসএলের প্লে অফের দৌড় থেকে অনেকটা দূরে ছিটকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতে প্রথমার্ধে দাঁড়াতেই পারেনি লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া চেষ্টা চালায় কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। সাউল ক্রেসপো যোগ দেওয়ায় দলে যে ভারসাম্য এসেছে তা বোঝা গিয়েছে রবিবার রাতে। সুপার কাপ জেতার পর একেবারেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে লাল-হলুদ। ফুটবলার বদল, চোট-আঘাতে দলের কম্বিনেশনও ঘেঁটে যায়। নতুন করে শুরু করতে হয় কোচ কুয়াদ্রাতকে। আইএসএলের প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য লিগের সূচি আর রেফারিকেও দায়ী করেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। তবে এখন থেকেই পরের মরসুমের জন্য চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। পরের মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। লড়াইটা অনেক কঠিন।

দলের ব্যর্থতা স্বীকারও করছেন কুয়াদ্রাত। ক্লেটনের পেনাল্টি মিস না হলে যে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত, তাও মানছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। ডার্বি হারের পর কুয়াদ্রাত বলেন, ‘এসব ম্যাচে শুরুতে গোল করে দিতে পারলে অনেক অ্যাডভান্টেজ থাকা যায়। মানসিক দিক দিয়ে সেই দল এগিয়ে থাকে। ক্লেটন আগেও পেনাল্টি মিস করেছে। যে কোনও ফুটবলারের মাথাতেই পেনাল্টি মিসের বিষয়টি ঘোরাফেরা করে। তবে ক্লেটন, সৌভিক, হিজাজিরা মাঠে যে লড়াই করেছে তাতে আমি খুশি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নুঙ্গা চোট পেয়ে বেরিয়ে যায়। নন্দ কুমার একা হয়ে যাওয়ায় বক্সে ফাউল করে বসে। আর তাতেই ওরা পেনাল্টি পেয়ে যায়। তবে এগুলো খেলার অংশ।’

একই সঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘ক্রেসপো খুব ভালো খেলেছে। চোটের কারণে সাতটা ম্যাচে ওকে আমরা পাইনি। ডার্বিতে দুরন্ত পারফর্ম করে। ওর খেলায় আমরা খুশি। দ্বিতীয়ার্ধে আমার দল যে ফুটবলটা খেলেছে তাতে সকলের গর্ব করা উচিত। জুনিয়র ফুটবলাররাও লড়াই চালায়।’ প্লে অফের দৌড় থেকে ইস্টবেঙ্গল অনেকটা দূরে ছিটকে গেলেও এখনই আশা ছাড়তে রাজি নন কুয়াদ্রাত। তিনি বলেন, ‘এই মরসুমে প্লে অফের জন্য ২৭ পয়েন্ট কাট অফ হতে পারে। আশা করি, শীঘ্রই ফিরে আসব। ৯ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাব।’

আপাতত লম্বা বিরতি ইস্টবেঙ্গলের। ৩ এপ্রিল ফের আইএসএলের ম্যাচ। কেরলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ লাল-হলুদের। চোটের কারণে জাতীয় দল থেকেও অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন লালচুংনুঙ্গা। সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন আর ডুরান্ড কাপে রানার্স। আপাতত এটাই প্রাপ্তি কুয়াদ্রাতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − four =