বছরের প্রথম দিনই একের পর এক দুর্যোগ। জাপানের ভূকম্পণ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার পশ্চিম জাপানে ৭.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটি নোটো, ইশিকাওয়াতে আঘাত হানে। সোমবারের ভূমিকম্পের কারণে ইশিকাওয়াতে তাৎক্ষণিক সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়।
এদিকে দ্য জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী টোকিও ও কান্তো অঞ্চলে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। জাপানি পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-এর মতে, সুনামির সতর্কতার পর ৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ঢেউয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণেই এলাকবাসীদের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে উপকূলীয় এলাকা ছেড়ে ভবনের শীর্ষে বা উঁচু ভূমিতে সরে যেতে বলা হয়েছে। এনএইচকে-এর মতে, ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ১ মিটারেরও বেশি উঁচু ঢেউ আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। তবে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নেই। ইয়ামাগাটা এবং হায়োগো সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ২০১১ সালের তোহোকুতে ভূমিকম্প হয়। যাকে প্রায়ই গ্রেট ইস্ট জাপান ভূমিকম্প এবং সুনামি বলা হয়। এর ফলে ১৮ হাজার এরও বেশি লোক নিহত হন। প্রচুর মানুষ এখনও নিখোঁজ। প্রাণঘাতী এই ভূমিকম্পটি ছিল জাপানে রেকর্ড করা সবচেয়ে বড়। ১৯০০ সালের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। তবে এদিনের ভূ-কম্পনেও ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ।