নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: বিদ্যালয়ের গেটের সামনে মদ্যপ অবস্থায় লুটোপুটি খাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক! মদ্যপ শিক্ষকের এমন কীর্তিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বর্ধমান শহরজুড়ে। ওই শিক্ষকের নাম জয়রাম কুমার সিং।
বর্ধমান শহরের জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বেই রয়েছে শিবকুমার হরিজন বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে মদ্যপ অবস্থায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন ওই শিক্ষক। বর্ধমান শিবকুমার হরিজন বিদ্যালয়ের সামনের এই ঘটনা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটায় তা দেখে ক্ষুব্ধ সকলেই। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও দেখে তাদের শিক্ষকের হাল। দীর্ঘদিন ধরে চলা ওই মাতাল শিক্ষকের কাণ্ড জানানো হয়েছে বহুবার প্রশাসনিক মহলে। অভিযোগ জানিয়েও টনক নড়েনি বলে দাবি।
দাবি, কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি মাতাল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যার কারণে এই ঘটনায় লজ্জিত বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকারা। মদ্যপ শিক্ষক জয়রাম কুমার সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ অভিভাবকদেরও। অভিভাবকদের অভিযোগ, কী হবে পঠনপাঠন? কী হবে শিক্ষার পরিবেশ এই যদি হয় শিক্ষকেরই হাল। কেন উদাসীন প্রশাসন? এই সব কারণেই বাড়ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাবি অভিভাবকদের।
ßুñল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায়শই মদ্যপ অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসেন জয়রাম কুমার সিং। বিষয়টি জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। বিগত সময়ে যখন প্রধান শিক্ষক ছিলেন তখনও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরেও তিনি মদ্যপ অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও এই ঘটনায় লজ্জিত। বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের হিন্দি বিষয়ের শিক্ষকের এ হেন আচরনে ক্ষোভ ছড়িয়েছে অভিভাবক মহলে।
শনিবার বিদ্যালয়ের প্রবেশের গেটের মুখেই মাতাল অবস্থায় গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় শিক্ষকমশাইকে। বহুবার ডাকাডাকির পর তাঁর হুঁশ ফেরে। প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়াদের ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি টলমল অবস্থাতেই গেটের বাইরে থাকেন সারাটা সময়। পরে হুঁশ ফিরতে তাঁকে বাড়ি পাঠানো হয়।