সুমেধা। নামের সঙ্গে কাজেও আছে মিল। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী। কাজের জায়গাতেও মেধার পরিচয় দিয়েছে খুব অল্প সময়ে। আইটি সেক্টরে ৫ বছরেই ওপর মহলের সুনজরে সে। এহেন সুমেধার ইদানীং কী যে হয়েছে, কিচ্ছু ভাল লাগে না। সারাদিন কাজ। মানসিক চাপে বিরক্ত হয়ে উঠছে।
সুমেধার মতো অবস্থা অনেকরই। শুধু আইটি সেক্টর নয়, যে কোনও পেশাতেই কাজের চাপে নাভিঃশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়। অনেকেরই অফিসের কাজের সময় ঘুম পায়, অলস লাগে। একটা সময়, সকলেরই মনে হয় ধুস, আর ভাল লাগছে না। এমনটা হলে কী করবেন?
ঘুম- অনেক সময়ই কাজের চাপে ঘুম বাকি থাকে। অফিস, বাড়ি মিলিয়ে হাজার ঝক্কি। ৭-৮ ঘণ্টা দূর, ৬ ঘণ্টাও শোয়ার উপায় নেই। এটাই কিন্তু ক্লান্তি, ভাল না লাগার অন্যতম কারণ। প্রয়োজন মতো ঘুম না হলে শরীরের ক্লান্তিটা চেপে বসে। কাজ করার এনার্জি আসে না। তাই সময় ম্যানেজ করে ঘুমিয়ে কিন্তু নিতেই হবে।
গভীর শ্বাস-কাজে মন না বসলে উঠে গিয়ে মুখে, ঘাড়ে ভাল করে জলের ঝাপটা দিন। তারপর চেয়ারে বসে পাঁচটা মিনিট চোখ বন্ধ করে ধীরে অথচ গভীরভাবে শ্বাস নিন। মস্তিষ্কে অক্সিজেন ভালভাবে পৌঁছলেই চনমনে ভাবটা ফিরে আসবে। আর, ভাল করে এককাপ কফি বা চা খেয়ে নিন।
চকলেট-
মন ভাল করতে, দ্রুত এনার্জির জন্য চকলেটের বিকল্প নেই। তাই কিচ্ছু ভাল না লাগলে, মিনিট দশেকের বিরতি নিয়ে অফিসের কোনও খোলা জায়গায় চলে আসুন। আর ডার্ক চকলেট খান।
আড্ডা মারুন
আড্ডা, মন খুলে কথা বলা এটা কিন্তু ভীষণ দরকার। শুধু অফিসের চাপ নয়, ব্যক্তিগত জীবনের চিন্তাভাবনাও কাজে মনোযোগ দেওয়ার পথে বাধা তৈরি করতে পারে। তাই বন্ধু থেক সহকর্মী নিজেদের মতো সময়-সুযোগ করে আড্ডা মারুন।
বিনোদন খুঁজে নিন- অফিসের সময় শেষ হলে, মন ভাল রাখতে বিনোদন খুঁজে নিন। শপিং করুন, খেতে যান, ওয়েব সিরিজ দেখুন, বই পরুন। মনে রাখবেন, কর্মব্যস্ততার জন্য আমরা নিজেদের সঙ্গে নিজের টাইম যেটাকে সেলফ টাইম বলে সেটা দিতে পারি না। এটা কিন্তু মস্ত বড় ভুল। প্রতিদিন যদি নাও হয়, সপ্তাহে ৩-৪ দিন নিজেকে সময় দিন। দেখবেন ভাল লাগছে না, ব্যাপরটা কেটে যাবে।
ঘুরে আসুন- বেড়াতে ভালবাসে না, এমন মানুষ খুব কম আছে। তাই সপ্তাহের একটা বা দু’দিনের ছুটিতে ঘর, বাইরের কোনও কাজের কথা না ভেবে বেরিয়ে পড়ুন। আর কয়েকটা দিনের ছুটি ম্যানেজ করতে পারলে কথাই নেই।
পাশাপাশি প্রচুর জল, হেলদি খাবার খাওয়া আর এক্সারসাইজ নিয়মিত করতে পারলে দেখবেন, এনার্জি আর কমছেই না।