গদিচ্যুত জোরামথাঙ্গা, মিজোরামে ক্ষমতায় জেডপিএম

মিজোরামে পালাবদল। দলগঠনের মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই রাজ্যে সরকার গঠনের পথে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট বা জেডপিএম। সোমবার ভোটগণনার পর থেকেই পরিস্কার, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারে নতুন রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে, তিন রাজ্যে হারের পর মিজোরাম থেকেও শূন্য হাতেই ফিরতে হবে কংগ্রেসকে। মাত্র একটি আসন পেতে চলেছে তারা।

২০১৮ সালেই মিজোরামে দু’দশকের দ্বিমেরু রাজনীতির প্রথা ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে দখল করেছিলেন বিরোধী দলনেতার পদ। জোরাম পিপলস‌ মুভমেন্ট (জেডপিএম) নেতা লালডুহোমা এ বারের বিধানসভা ভোটে শাসক মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ)-কে পর্যুদস্ত করে মিজোরামের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।

সোমবার সকালেই গণনার প্রবণতায় ইঙ্গিত মিলেছিল। দুপুর গড়াতেই স্পষ্ট হল, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আইজলের কুর্সিতে বসতে চলেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির দেহরক্ষী বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান লালডুহোমা। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ২১। জেডপিএম জিতেছে ২৭টিতে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার দল এমএনএফ ৯টি আসনে জিতেছে। এগিয়ে রয়েছে ১টিতে। বিজেপি ২ এবং কংগ্রেস ১টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছে।

২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে গঠিত হয় জেডপিএম। সেই বছরই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে আটটি আসনে জয় পায় লালডুহোমার দল। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসে তারা। ৫ বছর পরে নিজেদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়তে পারে বলেই দেখা যাচ্ছে নির্বাচনী ফলাফলে। এখনও পর্যন্ত ২৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। মিজোরামের ম্যাজিক ফিগার ২০কেও অনায়াসে পেরিয়ে যেতে চলেছে প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমার দল।

মিজোরামের ধারা অনুযায়ী, ১০ বছর অন্তর সেরাজ্যের সরকার বদল হয়। ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মিজোরাম ছিল কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু সেই ধারা ভেঙে দেওয়ার পথে জেডপিএম। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই বিজেপির ‘শরিক’ এমএনএফকে গদিচ্যুত করতে চলেছে তারা। এক ধাক্কায় ১৭টিরও বেশি আসন হারাতে চলেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলটি। ইতিমধ্যেই নিজের কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন মিজোরামের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eight =