দড়ির সাহায্যে হেলিকপ্টারে টেনে তোলা হচ্ছিল রোপওয়ের (Ropeway) ট্রলিতে আটকে পড়া এক পর্যটককে। কপ্টারের একেবারে কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। এক হাত বাড়ালেই কপ্টারের নাগাল পেতেন। কিন্তু ওই মুহূর্তে আবারও দুর্ঘটনা! দড়ি হাত থেকে ফসকে নীচে পাথুরে জমিতে পড়ে মৃত্যু হল পর্যটকের।
দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় উদ্ধারকার্য চলাকালীন এমন ভয়াবহ মৃত্যুর মুহূর্ত নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্ধারকারী কপ্টার থেকে ফেলা দড়ি হাত থেকে পিছলে এক হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই পর্যটকের।
Disturbing visuals: Man fell from a height of 1500 feet during rescue operation, died.#Jharkhand #DeogharRopewayAccident #Deoghar #Accidents #cablecar pic.twitter.com/mcLD0wV571
— Siraj Noorani (@sirajnoorani) April 11, 2022
রবিবার বিকেলে আচমকাই ভেঙে পড়ে রোপওয়েটি, তার পর থেকে সোমবার বেলা পর্যন্ত ৪৮ জন ওই রোপওয়েতে ঝুলতে থাকেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎপর হয় প্রশাসন। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ডাকা হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও (NDRF)। পাশাপাশি নামানো হয়েছে সেনা এবং সেনাবাহিনীকেও। উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনার দু’টি এমআই-১৭ কপ্টার। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী হাফিজুল হাসান জানিয়েছেন, ৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা ও ভারতীয় সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী হাসান বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত দল গঠন করা হবে। আমাদের অগ্রাধিকার হল জীবন বাঁচানো।
পুলিশ জানিয়েছে, রোপওয়ে ভেঙে পড়ার ফলে নীচের দু’টি ট্রলি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। দুই ট্রলির আরোহী সবাই গুরুতর আহত হন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুমন্তী দেবী নামে এক মহিলার। ট্রলির ভেতরে আটকে পড়া সবাই আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই বিহারের বাসিন্দা। আহতরা হলেন-গোবিন্দ ভোক্তা, ভূপেন্দ্র বর্মন, দীপিকা বর্মন, অজ্ঞাত এক বছরের শিশু, রূপা কুমারী, সোনি দেবী, রমন কুমার শ্রীবাস্তব, সুধা রানী ও খুশবু রানী।