শাহজাহানদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালি, লাঠি, বাঁশ হাতে পথে নামলেন  মহিলারা

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। অবশেষে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর সঙ্গী উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তারির দাবিতে লাঠি, বাঁশ হাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পথে নামলেন সন্দেশখালির মহিলারা।থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। মহিলাদের আরও দাবি, শাহজাহানেরা দিনের পর দিন ধরে জমি দখল করেছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারির দাবিতে তাই  ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি।

দলের নাম ভাঙিয়ে শাহজাহানরা এত দিন যে অত্যাচার গ্রামবাসীদের উপর করেছেন, এ বার তার বিহিত চান সকলে। সেই ‘হিসাব মেটাতে’ই বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। বিক্ষোভরত মহিলাদের দাবি, ‘শাহজাহানদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা যাব না।’ গ্রামের মহিলাদের দাবি, এত দিন শিবপ্রসাদ, শাহজাহানদের ভয়ে মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সয়েছেন।  এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই তারা রাস্তায় নেমেছেন। বিক্ষোভকারী মহিলাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের কাছে গেলেও সুরাহা মেলে না।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে চাষের জমি ও খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি তৈরি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি উত্তম সর্দার। জমিতে চাষের পর গ্রামবাসীরা তাঁদের প্রাপ্য পাননি। এতদিন শেখ শাহজাহানের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি বলেও দাবি গ্রামবাসীদের। শেখ শাহজাহান বেপাত্তা হতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলের পাশাপাশি শিবপ্রসাদ হাজরার ভেড়ির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে থানার উদ্দেশে মিছিল করেন স্থানীয় মহিলারা। মাঝপথে বাধা দেয় পুলিশ। তার জেরে পুলিশ ও উত্তেজিত মহিলাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিকে, ঝামেলার আশঙ্কায় সন্দেশখালি বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এককথায়, সন্দেশখালির আদিবাসী মহিলারা আজ রণংদেহি চেহারা নিয়েছেন। এককথায় বলতে গেলে ফুঁসছে সন্দেশখালি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 10 =