ঠিক যেন খরগোশ এবং কচ্ছপের গল্প। এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসকে খরগোশ বলাই যায়। টানা জয় দিয়ে মরসুম শুরু করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। আসল হোমগ্রাউন্ড অর্থাৎ দিল্লিতে ফিরতেই ছন্দপতন হতে থাকে। এরপরও প্লে-অফের লড়াইয়ে ছিল তারা। কিন্তু পরপর অস্বস্তিতে পড়ে। ওয়াংখেড়েতে ভার্চুয়াল নকআউট ম্যাচে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। জিতলে আরও একটা সুযোগ থাকত। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবরে পড়ল দিল্লি ক্যাপিটালস। উইল জ্যাকসের একটা ক্যাচ মিসে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছিল দিল্লি। তাতেও লাভ হয়নি। ৫৯ রানের বিশাল জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সম্পর্কে একটা তথ্য সকলেরই জানা। তাদের শুরুটা বরাবরই স্লো-হয়। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। পরপর হারে অস্বস্তি বেড়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সমর্থকদের মধ্যে। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। জয়ের পাশাপাশি নেট রান রেটেও নজর রেখেছিল। তবে আপাতত তার প্রয়োজন পড়ছে না। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নিল। গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পঞ্জাব কিংস আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল।
ঘরের মাঠে এ বারের আইপিএলে শেষ ম্যাচ খেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সদ্য ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিত শর্মা স্ট্যান্ড উদ্বোধন হয়েছে। এই ম্যাচটা রোহিতের কাছে আবেগের ছিল। তাঁর নামাঙ্কিত স্ট্যান্ডের সামনে ব্যাট হাতে হতাশা এল। দল জিতেছে এবং প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে, এটা বড় প্রাপ্তি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেকায়দায় পড়েছিল মুম্বই। যদিও সূর্যকুমার যাদবের ৪৩ বলে ৭৩ এবং নমন ধিরের ৮ বলে ২৪ রানের ক্যামিও। ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে মুম্বই।
টার্গেট খুব কঠিন তা বলা যায় না। তবে আত্মবিশ্বাস কম থাকা দিল্লির কাছে এটাই বিশাল টার্গেট হয়ে দাঁড়ায়। একের পর এক উইকেট নিতে থাকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিছুটা লড়াই সমীর রিজভির। ৩৯ রান করেন তিনি। কিন্তু জসপ্রীত বুমরা এবং মিচেল স্যান্টনারের সামনে অসহায় দেখায় দিল্লি ব্যাটিংকে। দু-জনেই তিনটি করে উইকেট নেন। ১৮.২ ওভারে মাত্র ১২১ রানেই শেষ দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস এবং প্লে-অফের যাবতীয় আশা।

