দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেক সময় মারা যান প্লেয়াররা। মাঠেও এমন ঘটনা কম নেই। ফুটবল খেলতে খেলতে মারা যাওয়ার উদাহরণ প্রচুর রয়েছে। কিন্তু এ ভাবে কখনও কেউ মারা গিয়েছেন কিনা, বলা মুশকিল। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলে এমনই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এফসি বান্দুং বনাম এফবিআই সুবাংয়ের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ছিল। তা খেলতে গিয়েই বাজ পড়ে মারা গেলেন ৩৫ বছরের এক ফুটবলার। অনেক সময় ঝড়-বৃষ্টিতে গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাজ পড়ে মারা যাওয়ার খবর শোনা গিয়েছে। ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে গিয়েছে এ ভাবে মারা যাওয়ার খবর চট করে শোনা যায় না। ইন্দোনেশিয়ায় কিন্তু এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ঘটেছে।
পশ্চিম জাভার সিলিওয়াংগি স্টেডিয়ামে খেলা চলছিল। সুবাংয়ের ৩৫ বছরের ফুটবলার সেপ্টিয়ান রাহারজা বাজ পড়ে মারা যান। ঘটনার পর ওই ফুটবলার বেঁচে ছিলেন কিছুক্ষণ। শ্বাসপ্রশ্বাসও পড়ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সারা শরীর পুড়ে যাওয়ার কারণে সেপ্টিয়ানকে আর বাঁচানো যায়নি। আবহাওয়া খারাপ থাকলে, প্রবল বৃষ্টি পড়লে রেফারি সাধারণত খেলা থামিয়ে দেন দুই ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে। সারা বিশ্বেই এমনটা দেখা যায়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার ওই ফ্রেন্ডলি ম্যাচের সময় তা হয়নি কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এক বছরের মধ্যে মাঠে বাজ পড়ে ফুটবলার মারা যাওয়ার ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় এ নিয়ে দ্বিতীয় বার ঘটল।
সেপ্টিকের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া ইন্দোনেশিয়ান ফুটবলে। বয়স ৩৫ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু খেলতে গিয়ে এ ভাবে মারা যাওয়ার ঘটনা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল সংস্থা এ নিয়ে কড়া হতে চাইছে।