পাঁচ মাসের মাথায় বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়, মুখ্যসচিব, রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ শুভেন্দুর

কলকাতা : “অঝোর বৃষ্টিতেই মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনি দ্বীপের রিং বাঁধ ভেঙে গেলো। সরকারি অর্থে প্রায় ১.৩৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি বাঁধ মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় ভেঙে গেলো। সরকারি টাকা কিভাবে নয়ছয় হয়েছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ।” বুধবার এক্সবার্তায় এ কথা লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি লিখেছেন, ফুলহার নদীর একটা বড় অংশে রিং বাঁধ ভেঙে গিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুর, এই ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বাস ভূতনি দ্বীপে। প্লাবিত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত ভূতনির দ্বীপের বাসিন্দারা।

যথারীতি প্রশাসন অপ্রস্তুত ও সঙ্কটের মোকাবিলা করতে অক্ষম। আমি মুখ্যসচিবকে অনুরোধ জানাবো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত দোষী আধিকারিকদের কিভাবে বাঁচানো যায় ও অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী মুসলিমদের কিভাবে ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়া যায়, সর্বক্ষণ সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে সময় নষ্ট না করে বন্যা পরিস্থিতিতে কিভাবে মানুষের পাশে থেকে তাদের উদ্ধার করা যায়, সেই নিয়ে একটু সময় ব্যয় করুন।

যতো জলদি সম্ভব সরকারি ক্যাম্প তৈরি করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করুন, ক্যাম্প গুলোতে রান্নার আয়োজন করার সাথে যেসব এলাকায় লোকজন আটকে রয়েছেন তাদের শুকনো খাওয়ার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গবাদি পশুর খাওয়ার ও পৌঁছে দিন।

এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন এমন ওষুধপত্র মজুত করে যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। সর্বোপরি সময় নষ্ট না করে, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF) কে এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে ব্যবহার করার জন্য যা করণীয় তার ব্যবস্থা করুন।

আমি মাননীয় রাজ্যপাল মহোদয়কেও অনুরোধ জানাবো, আপনি একবার এই এলাকা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিদর্শনে যান, যাতে করে প্রশাসনের টনক নড়ে ও তারা তাড়াতাড়ি মানুষের সেবায়, সুরক্ষায় ও পরিত্রাণে নিয়োজিত হয়।”

শুভেন্দুবাবু এই বার্তা যুক্ত করেছেন রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবের এক্স হ্যান্ডলের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 18 =