পুলিশ কর্তার নাম করে এক তৃণমূল কর্মীর দাদাগিরি।আর এই দাদাগিরি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ওই তৃণমূল কর্মী। ধৃত তৃণমূল কর্মীর নাম সরফরাজ আলি খান। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জেলার খানাকুলে। ধৃতের বাড়ি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলে। বুধবার ধৃত যুবক সরফরাজ আলি খানকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ওই যুবক খানাকুলের কিশোরপুর দুই অঞ্চলের মদনবাটি এলাকার বাসিন্দা মানিক মণ্ডলকে ফোন করে খানাকুল থানার ওসি রাসেল পারভেজ খানের নাম করে ভয় দেখায় ও চমকায় বলে অভিযোগ। যদিও মানিক মণ্ডলের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ধৃত সরফরাজ আলি খান বলেন, ভুল হয়েছে। আমাদের মধ্যে ইয়ার্কি হয়েছিল। সেটা অন্য পর্যায়ে চলে যায়।
জানা গেছে, মানিক মণ্ডল খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সরফরাজ আলি খানকে গ্রেপ্তার করে। এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, একটা অভিযোগ হয়েছিল। তার ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সরফরাজ সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। খানাকুল এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর অন্তত ঘনিষ্ঠ।
যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা ইলিয়াস চৌধুরীকে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে কিশোরপুর দুই নম্বর অঞ্চলের উপ প্রধান তথা তৃণমূল নেতা দিপেন মাইতি বলেন, মানিক মণ্ডলের সঙ্গে সরফরাজের দীর্ঘদিনের পরিচয়। ইয়ার্কি করতে গিয়ে মানিক মণ্ডলকে ফোন করে সরফরাজ। লোকসভা ভোটের আগে পুলিশের নাম করে তৃণমূল কর্মীর দাদাগিরির ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, এটাই তো তৃণমূলের কালচার। পুলিশের নাম করে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে চমকানো সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে। এই ক্ষেত্রে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অপরদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও লোকসভা ভোটের আগে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে খানাকুল এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।