চারবারের চ্যাম্পিয়ন তারা। অথচ চলতি আইপিএলের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই হার। লিগ তালিকার একেবারে নিচে নেমে গিয়ে তকমা জুটেছে লাস্ট বয়ের! আর কাহাতক এই ‘অপমান’ সহ্য করা যায়! এবার ইসপার-উসপার করতেই হবে। এমন মানসিকতা নিয়েই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজারা। মঙ্গল-রাতে ক্ষুধার্থ সিংহের মতোই হল ‘কামব্যাক’। ব্যাটে-বলে ঝড় তুলে কোহলিদের পরাস্ত করে কাঙ্খিত প্রথম জয়টি পকেটে পুরল সিএসকে।
যতই সকলে বলুক আইপিএল তরুণ প্রজন্মের ফরম্যাট। চেন্নাই বরাবরই সামঞ্জস্যে বিশ্বাসী। তাই তারুণ্য আর অভিজ্ঞতার মিশেলেই দল সাজায় তারা। আর সে তত্ত্ব সঠিক করার দায়িত্ব নেন ক্রিকেটাররা। ঠিক যেমন নিলেন শিবম দুবে ও রবিন উথাপ্পা। তরুণ শিবম ও অভিজ্ঞ উথাপ্পার দুর্দান্ত পার্টনারশিপেই আরসিবির সামনে তৈরি হল রানের পাহাড়। লড়াই করেও যেখানে পৌঁছতে শেষমেশ ব্যর্থই হলেন বিরাট কোহলিরা।
বোনের আকস্মিক মৃত্যুতে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন হর্ষল প্যাটেল। তাঁর জায়গায় ব্যাঙ্গালোরের জার্সিতে নেমে পড়েছিলেন জস হ্যাজলউড। শুরুতে ঋতুরাজের (১৭) উইকেটটি তুলে নিয়ে চেন্নাই টপ অর্ডারে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ৩ রানে করে রান আউট হয়ে মঈন আলিও ফেরেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু তারপর খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন উথাপ্পা ও দুবে। ৫০ বলে ৮৮ রান করে হাসারাঙ্গার ডেলিভারিতে কোহলির হাতে ক্যাচ তোলেন তিনি। তবে শিবম দুবে ৪৬ বলে ৯৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি ছক্কা ও পাঁচটি বাউন্ডারি দিয়ে। ধোনি মাঠে নামলেও অবশ্য একটিও বল খেলতে হয়নি তাঁকে।
পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ৫০ রানেই চারটে উইকেট খুইয়ে বসে আরসিবি। নেতৃত্বের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেও ছন্দে ফিরতে পারছেন না কোহলি। মাত্র এক রান করেই আউট হন। তাঁর ফর্ম নিয়ে বারবার উঠতে থাকা প্রশ্নের যোগ্য জবাব দিতে পারছেন না কিছুতেই। ব্যর্থ অধিনায়ক ফ্যাফ (৮) এবং ওপেনার অনুজ রাওয়াতও (১২)। শাহবাজ আহমেদ (৪১) ও সুয়াশের ব্যাটে ভর করে খানিকটা এগোয় দল। এরপর দীনেশ কার্তিক আবার নতুন করে আরসিবি সমর্থকদের মনে আশার আলো জাগিয়ে তোলেন। ১৮ বলে প্রয়োজন ৪৮ রান। ম্যাচ যখন এমন অবস্থায়, তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন কার্তিক। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন সিএসকে অধিনায়ক। কোহলিদের হারিয়েই চলতি আইপিএলে খাতা খুলল চেন্নাই। আর দু’ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার পাঁচে নেমে গেল আরসিবি।