আরামবাগ: লোকসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও অনেক জায়গাতেই তার মহড়া শুরু হয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রুট মার্চ শুরু হয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসছেন আরামবাগে। খুব সম্ভবত আরামবাগ থেকেই তিনি প্রচার শুরু করবেন। সুতরাং ভোটের দামামা বেজেই গেছে। আর তাই এবার শুরু হয়ে গেল রুট মার্চ। যদিও শুক্রবার গোঘাট থানায় ওসি নিরুপম মণ্ডলের নেতৃত্বে শুরু হয় এই রুট মার্চ। যদিও জানা গেছে, হুগলি এসপির নির্দেশেই এই রুট মার্চ করা হয় গোঘাটের প্রত্যন্ত এলাকা তথা উত্তেজনাপ্রবণ কিছু এলাকায়। সামনেই লোকসভা নির্বাচন।
এই নির্বাচনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার কারণেই জনসাধারণকে আশ্বস্ত করতে আগেভাগে এই রুটমার্চ। এই রুট মার্চে ছিলেন এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, সিআই অরূপ ভৌমিক, ছিলেন গোঘাট থানার ওসি নিরুপম মণ্ডল, বদনগঞ্জ বিট হাউসের দায়িত্বে থাকা অফিসার শুভজিৎ দে সহ গোঘাট প্রশাসনের আরো অন্যান্য আধিকারিকরা। শুক্রবার গোঘাট-২ ব্লকের শ্যামবাজার অঞ্চলে আদুয়া, লালপুর, শ্যামবাজার সহ শ্যামবাজার অঞ্চলের বিভিন্ন অলিগলিতে চলল রুট মার্চ। এরই সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন এই আধিকারিকরা। গোঘাট-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত খবরের শিরোনামেই মাঝে মধ্যে উঠে আসে আর গোঘাট-২ ব্লকের সেই সমস্ত পঞ্চায়েত বেছে বেছে চলছে রুট মার্চ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে সাধারণ মানুষের সমস্যা জানার চেষ্টাও করেন আধিকারিকরা।
তবে প্রশ্ন উঠছে সন্দেশখালি ও খানাকুলের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্যই কি পুলিশের এই কর্মসূচি? আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী এলাকার মানুষ জনকে আশ্বস্ত করে সাহস জোগান। অভয় দান করেন। এই বিষয় তিনি বলেন, এই রুটমার্চ হয় গোঘাট থানার বদনগঞ্জ বিট হাউসের নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর জন্য করা হয়। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলা হয়। সবমিলিয়ে এদিন প্রশাসনের এই রুট মার্চ হওয়ায় খুশি ওই এলাকার মানুষ।