নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে তালা ঝুলেছিল তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে। একমাস পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে দলীয় কার্যালয় খুলল নেতৃত্ব। পদ, অর্থ আর ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে দ্বন্দ্ব মেটানো হয়েছে বলে কটাক্ষ বিজেপির। ঘটনা বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁধারথোল অঞ্চলের৷
বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আঁধারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে তৃণমূল জয় পেলেও সংরক্ষণের গেরোয় প্রধান পদ পায় বিজেপি। উপপ্রধান পদ নিয়ে শুরু হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগ, দলীয় নির্দেশ না মেনে ভোটাভুটিতে উপপ্রধান হন তৃণমূলের তাইবুল শেখ। এরই প্রতিবাদে পঞ্চায়েতের নির্বাচিত তৃণমূল সদস্যদের একটা বড় অংশ স্থানীয় আঁধারথোল অঞ্চল কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। নিজেদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন দলীয় নেতৃত্বের কাছে।
তারপর থেকে একমাস ধরে তালাবন্ধ ছিল তৃণমূলের ওই অঞ্চল কার্যালয়। গতকাল স্থানীয় বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে দলের ব্লক নেতৃত্বের দফায় দফায় বৈঠকে মেলে সমাধান সূত্র। এরপরই তড়িঘড়ি শুক্রবার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে নিয়ে ওই দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলে ফেলা হয়। নতুন করে কার্যালয়ে দলের নাম লেখা হয়। তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে।
বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় নেতা কর্মীরাও গলা মিলিয়েছেন দলের ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে। বিজেপি অবশ্য এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির দাবি, কাটমানি নিয়েই তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। আবার কাটমানির আশ্বাস মেলাতেই সম্ভবত গণ্ডগোল মিটেছে। তবে বিজেপির দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ্ব আবার সামনে আসবে।