রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাঁচ মাস পরে মুক্তি চিন্ময়কৃষ্ণের

নয়াদিল্লি ও ঢাকা : বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অবশেষে জামিন পেলেন। বুধবার বাংলাদেশের আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় জেলে থাকার পর অবশেষে তিনি জামিন পেলেন।

বাংলাদেশের হাই কোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। শুনানি শেষে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান এবং আলি রেজার যৌথ বেঞ্চ আবেদনটি মঞ্জুর করে। কিন্তু জামিন পেলেও আজই সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ মুক্তি পাবেন কি না, এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ তিন দিন সরকারি ছুটি রয়েছে সেখানে। ফলে আদালত বন্ধ থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকার জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন জানালে মুক্তি পাওয়া আটকে যেতে পারে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, আদালত জানতে চেয়েছিল। এই সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। সে দিন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য হাইকোর্টের কাছে মক্কেলের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সন্ন্যাসী। বিনা বিচারে এভাবে তাঁকে আটকে রাখা উচিত নয়। সেই দিন যদিও হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেনি। সে দিন আদালত জানায়, ৩০ এপ্রিল শুনানি হবে।

অবশেষে বুধবার শুনানি শেষ হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 1 =