বিশ্বে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হল চিন (China)। বিভিন্ন রিপোর্টে উঠে এসেছিল সেখানে গত তিনমাসে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে। এই আবহেই জানা গেল, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে জনসংখ্যা কমেছে শি জিনপিংয়ের দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ছয় দশকে এই প্রথমবার চিনের জনসংখ্যার (Population of China) সঙ্কোচন ঘটেছে। দেখা যাচ্ছে, চিনে কাজকর্মে সক্ষম জনসংখ্যাও হ্রাস পাচ্ছে। রেকর্ড পতনও দেখা গিয়েছে জন্মহারেও। স্বভাবতই চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ নিচে নামায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জনসংখ্যার ৬২ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর মন্দ প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। চিনের অর্থনীতি ও বিশ্ব অর্থনীতি ধাক্কা খাবে।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৪১ কোটির চিনে গত বছর জনসংখ্যা কমেছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার। সেখানে একই সময়ে জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। ১৯৫০ সালের পর যা সবচেয়ে কম। এছাড়া ২০২২ সালে কোভিড ও অন্য কারণে ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিক্সের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চিনে জন্মহার কমে ১৩ শতাংশ হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।একটি পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, গত বছর প্রতি ১০০০ হাজার জনে চিনে শিশু জন্মহার ছিল মাত্র ৬.৭৭ শতাংশ। ১৯৭৮ সালের পর যা সর্বনিম্ন। এমন অবস্থায় মধ্য বয়সি ও বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে দেশে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পূর্ব এশিয়ার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে চিনে। জনসংখ্যা কম হলেও উন্নয়ন অব্যাহত সেখানে। যদিও চিনের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভশীল বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার উপরে।