কলকাতা : অগ্নিমূল্য বাজারদর। সবজি, মাছ–মাংস কোনও কিছুতেই হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ আমজনতার। পেট চালাতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। ভরা বর্ষায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাজারে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে চন্দ্রমুখী আলু, পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা, বেগুনের দাম ১০০ টাকা প্রতি কেজি, ঢ্যাঁড়শ ৮০ টাকা, লঙ্কা ১৫০। টম্যাটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, সজনে ডাঁটা ছুঁয়েছে ৩০০-র গন্ডি। চড়া দামে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজিতে হাত ছোঁয়াতে পারছে না সাধারণ মানুষ। শুধু সবজি নয়, হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না মাছেও। কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি, পাবদা ৭০০, ভেটকি ৮০০। অগ্নিমূল্য পমফ্রেট এবং চিংড়ি–ও। পমফ্রেট ৮০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০, গলদা চিংড়ি ৭০০। এক কেজি ইলিশের দাম ১৬০০ টাকা।
মঙ্গলবার এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় উপস্থিত থাকার কথা বাজার কমিটির সদস্যরা, টাস্ক ফোর্স, পুলিশের কর্তা, বিভাগীয় মন্ত্রীরা। কীভাবে এই চড়া দাম থেকে রেহাই পাবে মানুষ, সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে, বাজারের সবজি মাছ, মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন ব্যাবসায়ীরা।