আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাল বৈঠকে বসছেন। মেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ১৫ জন মন্ত্রী ও আঠারোটি দপ্তরের সচিবদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত থাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদেরও নবান্ন সভাগরের ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পরে মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী আগামী মাসের শুরুতেই গঙ্গাসাগর যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ৩ এবং ৪ জানুয়ারি তাঁর এই গঙ্গাসাগর সফরের সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বৈঠকের পর আগামীকাল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও রয়েছে।
নতুন বছরের ১২-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে আয়োজিত গঙ্গাসাগর মেলায় লাখ লাখ মানুষ পুণ্যস্নান করতে আসবেন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, গঙ্গাসাগরে আগত গোটা দেশের মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য সরকার। মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত সেচ দপ্তরের হাতে থাকা সমস্ত কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেচ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, লট-৮-এর অদূরে ২ এবং ৩ নম্বর পোলের মধ্যে নতুন করে একটি চর দেখা দিয়েছে। ড্রেজিংয়ের বাকি কাজ হয়ে গেলেও নতুন করে দেখতে পাওয়া এই চর কাটাই এখন প্রশাসনের কাছে বড় মাথাব্যাথার কারণ। এই চর কাটতে ড্রেজার নিয়ে আসা হয়েছে ফরাক্কা থেকে। মুড়িগঙ্গার ড্রেজিং বাদ দিয়ে মেলার আয়োজনের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ করে থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। তারাও পূর্ণ উদ্যমে প্রস্তুতির কাজ করছে।
ইতিমধ্যে দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় বেশ কয়েক বার গঙ্গাসাগর পরিদর্শন করেও এসেছেন। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা যেহেতু সাগর বিধানসভার বিধায়ক। তাই এই মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে তাঁকে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবারের বৈঠকে মন্ত্রীদের মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।