দু’ম্যাচ আগে নিজেই নিজের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। টার্গেট ছিল যেভাবেই হোক ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা। বৃহস্পতিবার দিল্লি ম্যাচে সেই গতির টার্গেট ছাপিয়ে গেলেন ‘শ্রীনগর এক্সপ্রেস’ উমরান মালিক। আইপিএলের দ্রুততম বোলার এখন ‘শ্রীনগর এক্সপ্রেস’ নামেই পরিচিত। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিরুদ্ধে শেষ ওভারে উমরান একটি বল করেছেন ১৫৬.৯ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে। যা চলতি আইপিএলে তো বটেই গত কয়েকটি আইপিএলের মধ্যেও দ্রুততম বল। উমরান চলতি আইপিএলে লাগাতার নিজের গতি বাড়িতে চলেছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে ভাল বল করতে পারেননি তিনি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫২ রান। এই প্রথম আইপিএলে তাঁর চার ওভারে পঞ্চাশের বেশি রান তুলল কোনও দল। দিল্লির কাছে ২১ রানে হেরে গিয়েছে তাঁর দলও। কিন্তু তা বলে গতির সঙ্গে কোনওরকম আপস তিনি করেননি। শেষ ওভারের সবকটি বল শ্রীনগর এক্সপ্রেস করেছেন ১৫৩ কিলোমিটারের বেশি গতিতে।
দিল্লির বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হেরে গেলেও উমরান স্পর্শ করেন ১৫৭ কিলোমিটার। পাওয়েল সেই বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। কোচ জানালেন, উমরানের বাড়ি তাওয়াই নদীর তীরে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেই নদীর বালির উপর দিয়ে দৌড়তেন উমরান। কোমরে বাঁধা থাকত সাইকেলের দু’টি টিউব। তাতেও ভরা থাকত বালি। সেই টিউব কোমরে বেঁধে দৌড়েই শক্তি বাড়িয়েছেন উমরান। যার ফল পাওয়া যাচ্ছে এখন বল হাতে।
২০২০ আইপিএলে ঘণ্টায় ১৫৬.২২ কিমি গতিতে বল করেছিলেন তিনি। তার থেকেও প্রায় ০.৭ কিমি বেশি গতিতে বল করে এদিন তাক লাগিয়েছেন উমরান। যা দেখে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসার তথা উমরানের একসময়ের মেন্টর ইরফান পাঠানের আশা আগামী দিনে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতেও বল করতে পারবেন।
কিন্ত কাশ্মীরের ওই তরুণের গতির রহস্য কী? উমরান মালিকের কোচ রণধীর সিং মানহাস জানাচ্ছেন, উমরানের বাড়ি তাওয়াই নদীর তীরে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেই নদীর বালির উপর দিয়ে দৌড়তেন উমরান। কোমরে বাঁধা থাকত সাইকেলের দু’টি বালি ভরতি টিউব। সেই টিউব কোমরে বেঁধে দৌড়েই শক্তি বাড়িয়েছেন উমরান। যার সুফল এখন পাচ্ছেন তিনি।