নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: আজ সোমবার রাস উৎসব। তার আগে রবিবার রাত থেকেই জমজমাট হয়ে ওঠে দাঁইহাট শহর। বাংলার লোক উৎসব পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাটের রাস উৎসব। এই রাস উৎসব শতাব্দী প্রাচীন। রাসের শোভাযাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায় দাঁইহাট শহরে।
আগে দাঁইহাটে পটের পুজো হত। পটের পুজোর পরিবর্তে এখন প্রতিমার পুজো হয়। এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্লাবে থিমের পুজো হয়। দাঁইহাটের নবারুণ সংঘ ও টাইগার ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করলেন দাঁইহাট ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়দেব দত্ত। নবারুণ সংঘের প্যান্ডেল করা হয়েছে কাঠের পুতুল ও কুলো দিয়ে। ঠাকুর হল কালী। এই সংঘের পক্ষ থেকে একটি পত্রিকা উদ্বোধন করা হয়।
টাইগার ক্লাবে শেরাবালি পূজা করা হয়। এইবার ক্লাবের পূজা ৩১ বছরে পড়ল। পুজো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রতিবন্ধী ছাত্র সহ দাঁইহাট ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ক্লাবের সদস্যরা। এদিন দাঁইহাটের বৌদ্ধ সংঘের পুজো উদ্বোধন করলেন কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া থানার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গেপাধ্যায়, দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, দাঁইহাট ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়দেব দত্ত, দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ লাল্টু পান্ডে সহ অন্যান্যরা। এই সংঘে পাঁচ ভাই কার্তিক ঠাকুরের পুজো করা হয়।
বৌদ্ধ সংঘ, নবারুণ সংঘ ও ক্লাব টাইগার প্রতিনিয়ত রক্তদান শিবির সহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকে। পুজো মণ্ডপ দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। নবজাগরণ ক্লাবের পুজো মণ্ডপের থিম করা হয়েছে রাজস্থানের তানেট মাতার মন্দির। এই ক্লাবে মহাপ্রভুর পুজো করা হয়। প্রথমদিনে নবজাগরণ ক্লাবের রাজস্থানের তানেট মাতার মন্দিরে উপচে পড়া ভিড় দর্শনার্থীদের। রাস্তায় রাস্তায় সেজে উঠেছে রঙিন আলো। দুর্গা , কালী, কার্তিক ও জগদ্ধাত্রীপুজো কেটে যাওয়ার পরও উৎসব মুখর মানুষ রাস উৎসবেও নিজেদের গা ভাসিয়েছেন।