এবার কয়লাকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর আতস কাঁচের তলায় বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি। এই পুলিশ আধিকারিকের নাম মহম্মদ আলি। কয়লাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার থেকে প্রোটেকশন মানি নেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তরফ থেকে তলব করা হয় তাঁকে, এমনটাই সূত্রে খবর। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে তলব পেতেই তড়িঘড়ি মঙ্গলবারই নিজ্যাম প্যালেসে হাজির হন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি, গরুপাচার, কয়লাকাণ্ডের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। আর বীরভূমের সিউড়ির আইসি-ই প্রথম নয়, এর আগেও কয়লাপাচার কাণ্ডে একাধিক পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন অনেক আইপিএস অফিসাররাও। এমনকী গ্রেপ্তারও করা হয় এ রাজ্যের এক পুলিশ ইন্সপেক্টরকে। সেই সূত্র ধরেই ডাক পড়ে সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলির। প্রসঙ্গত, মহম্মদ আলির আগে সিউড়ি থানার ওসি-র দায়িত্বভার সামলেছেন। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ মাঝির সঙ্গে তাঁর সরাসরি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এমনকী কয়লা পাচারের প্রোটেকশন মানি নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
পাশাাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, কয়লা পাচারের মূল ঘাঁটি হল বীরভূমের মহম্মদ বাজার। এর আগে ওই এলাকাতেই পোস্টেড ছিলেন এই মহম্মদ আলি। এদিকে লালা ঘনিষ্ঠরাও এই মহম্মদ আলি সম্পর্কে মুখে খুলেছেন সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। তাঁদের দাবি, কয়লা পাচারের প্রচুর টাকা প্রোটেকশন মানি দিয়েছেন এই পুলিশ আধিকারিককে। এমনকী এই সংক্রান্ত যাবতীয় বয়ানও তাঁরা গোয়েন্দাদের দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এর আগে দেউচায় যাঁরা কয়লা প্রকল্প বিরোধী আন্দলোন করছিলেন সেই বিক্ষোভকারীরাও বিভিন্ন সময় এই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। ফলে এদিনের মহম্মদ আলিকে এই তলবের পরবর্তী পদক্ষেপ কী সেদিকে তাকিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।