‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না’, মুখ্যমন্ত্রীর ভোট প্রচার প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

হুগলির আরামবাগের মায়াপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এসে শাসক দল তৃণমূলের কঠোর সমালোচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। বোমা বন্দুক প্রসঙ্গে বলেন, আমরা জানি শান্তিতে নির্বাচন হবে না। মনোনয়নের দিন থেকে তাই দেখা যাচ্ছে। কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। কয়েক মাস ধরে বোম বন্দুকের আওয়াজ শুনছিলাম। বোমার কারখানা, জায়গায় জায়গায় বোমা রয়েছে। সেই বোমা লুকনো আছে। তৃণমূলের বাড়িতে আছে, স্কুলের মাঠে আছে, পঞ্চায়েতে আছে। আমরা দেখেছি ভাঙরে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে আছে। আম গাছের আম পড়ে থাকার মতো বোম পড়ে আছে। বাংলার গভর্নর সেটা দেখছে। পুলিশের কাজ যেখানে বোম বন্দুক আছে তা বের করা। যতই মুখে বলুক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে না। খুন খারাপই হবে। কুলতলিতে বিজেপি কর্মীর উপর হামলা বিষয়ে বলেন, সব জায়গায় হামলা হচ্ছে। ভোট প্রচারে বের হলেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। তাই কেউ বেরবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। কেবল শুধু ওরাই বের হবে। কিন্তু সেটা হবে না, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে তৃণমূলকে বিদায় জানাবে। পাটনার জোট নিয়ে মমতার মিটিং,
চা খান, ছবি তুলুন। আমি শুনলাম এই মিটিংটা হয়েছিল পরের মিটিং কোথায় হবে তা ঠিক করার জন্য। পরের মিটিং নাকি সিমলায় হবে। গরমে নেতারা সব ঘেমে যাচ্ছেন। দু’চারদিন সিমলায় গিয়ে ঘুরে আসুন। মোদিজি ভারতের জন্য আমেরিকায় যাচ্ছেন, আর উনারা সিমলায় যাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট প্রচার প্রসঙ্গে, নেতারা পাচ্ছেন না, খোকাবাবুও পারছেন না। শেষে মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট প্রচারে নামতে হচ্ছে। কোনওদিন তো উনি করেন না। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। বিহারের পার্টনায় জোট প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, আগে তো জোট হোক। একসঙ্গে বসলেই কি জোট হয়ে যায়। আমি তো টিভি চ্যানেলে সুজন চক্রবর্তী, কুনাল ঘোষের সঙ্গে বসে চা খাই। সবাই নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত। কোনও জোট ফোট নেই। অপরদিকে রাজ্যপাল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে যদি কমিশনার কাজ করে। সেটা কি ঠিক হয় নাকি। সবই কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে। এটা বাংলার বদনাম হচ্ছে। তার যদি মান সম্মান থাকে তাহলে নিজের থেকে সরে যাওয়া উচিত। উনি বাংলাকে অপমানিত করছেন। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীদের ভোট প্রচারের বাধা প্রসঙ্গে বলেন, ফালতু ফালতু কেস দিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। তবে আমরা ঠান্ডা মাথায় ভোট করব। আমাদের গরম করলে, আমরাও গরম করব। সবমিলিয়ে তিনি এদিন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দাগেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =