১২ দিন পর অনশন প্রত্যাহার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারীদের, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর

 

 

১২ দিনের লড়াই শেষে অবশেষে অনশন প্রত্যাহার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের। প্রসঙ্গত, সোমবার চিকিৎসক পড়ুয়াদের সাধারণ সভা ছিল। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই ১২ দিনের অনশন ওঠে সোমবার সন্ধ্যায়। এদিন ডক্টর বিনায়ক সেনের হাত ধরে এই অনশন প্রত্যাহার হয়। এরপরই তাঁরা ওই মঞ্চ থেকেই জানান, এবার থেকে নিজেরাই নির্বাচন করবেন। পাশাাপাশি আন্দোলনকারীরা এও জানান, ‘কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকার রাজি হোক বা না হোক নিজেরাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করবেন পড়ুয়ারা।এমবিবিএস-এর চারটি বর্ষে পাঁচটি করে মোট ২০টি পদে এই নির্বাচন হবে।’ ২২ ডিসেম্বর‌ বিনায়ক সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, বিমল চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে হবে এই ভোট। একইসঙ্গে এদিন আন্দোলকারীদের তরফে স্লোগান দিতেও দেখা যায়, ‘মেডিক্যাল কলেজের আঙিনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঠাঁই নেই।’ এখানে একটা কথা বলতেই হয়, সত্যিই যদি ২২ ডিসেম্বর ভোট হয়, তা হলে ১৯২৮ সালের পুনরাবৃত্তি হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এখানকার ছাত্রদের দাবি, ব্রিটিশ আমলে ছাত্র সংসদের স্বীকৃতি দিতে চাওয়া হয়নি। সেই সময় নিজেদের ছাত্র সংসদ নিজেরা করেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।

প্রসঙ্গত, ছাত্র সংসদে ভোটের দাবিতে মেডিক্যালে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া নিয়ে রাতভর অশান্তি চলে। ২৬ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা স্থগিত করে দেয় স্বাস্থ্যভবন।  এই খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। ভোট করানোর দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। এরপরই এই প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওঠে মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে ঘেরাও করার। এমনকী এটাও জানা যায়, একদল জুনিয়র চিকিৎসকের হাতে ঘেরাও হন মেডক্যাল কলেজ সুপার। পাশাপাশি অভিযোগ ওঠে কলেজ চত্বরে ধুন্ধুমার বাধানোরও। এই সব ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। তারই জেরে টানা ১২দিন ধরে অনশনে বসেন পড়ুয়ারা। আর এই অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক পড়ুয়া। এদিকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তবে কোনও সুরাহা মিলছিল না। এদিকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও আসেন মেডিক্যাল কলেজে। এরপর বার্তা পাঠান, তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে সেখানেও দেওযা হয় একটি শর্ত। অনশন তুলতে হবে তাঁদের। কিন্তু নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও নড়তে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা। অবশেষে নিজেরাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনশন তুলে নিলেন পড়ুয়ারা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 3 =