পথ দেখাবে বাংলা, প্রথম এইচআইভি পজিটিভদের নিয়ে ক্যাফে কলকাতায়

‘ক্যাফে পজিটিভ’। নাম শুনলেই বোঝা যায় এখানে পজিটিভ কিছু আছে। হ্যাঁ আছে।এই ক্যাফের বিশেষত্ব হল এখানকার সমস্ত কর্মচারী এইচআইভি পজিটিভ। এটি এশিয়ার প্রথম ক্যাফে যা এইচআইভি পজিটিভ কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত।

ভয় পাবেন না। এইচঅআইভি বা এইডস কোনও ছোঁয়াচে রোগ নয়। এইচআইভি পজিটিভ মানুষ খাবার পরিবেশন করলে, রান্না করলে কোনওভাবেই রোগ ছড়ায় না। এই রোগ ছড়ায় এইচআইভি পজিটিভ কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে বা রক্তের মাধ্যমে।এইচআইভি পজিটিভ মানুষদের চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। সেই সঙ্গে আবার এমন কিছু প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন রয়েছে, যারা এই রোগে আক্রান্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে।

তাঁদের কথা ভেবেই এবার এই ক্যাফে খোলা হয়েছে কলকাতায়। ‘ক্যাফে পজিটিভ’-এর উদ্দেশ্য হল সচেতনতা তৈরি করা এবং এইচআইভি পজিটিভ মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা। এই ক্যাফেটি পরিচালনা করে ‘আনন্দঘর এনজিও’। কল্লোল ঘোষ এই এনজিও-র প্রতিষ্ঠিত। এই এনজিও প্রতিবন্ধী শিশু ও এইচআইভি পজিটিভ মানুষদের জন্য কাজ করে।

কল্লোল ঘোষের মতে তিনি ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি ক্যাফে থেকে অনুপ্রাণিত হন এই ক্যাফে খলার জন্য। ফ্রাঙ্কফুর্টের ক্যাফেটি সম্পূর্ণরূপে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত। ক্যাফেটি কফি এবং স্যান্ডউইচের জন্য পরিচিত। বেশির ভাগ সময়ই চাকরিজীবী মানুষ ও কলেজ পড়ুয়াদের ভিড় থাকে এখানে।

তাঁর কথায়, ভারতে এরকম ৩০টি ক্যাফে খোলার পরিকল্পনা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রশিক্ষণের জন্য ৮০০ জনকে বাছাই করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্যাফে খোলার সময় একটি আশঙ্কা ছিল যে এই মডেল কাজ করবে না। তবে এখন মানুষ আসতে শুরু করেছেন। যখন ক্রেতারা জানতে পারেন যে এখানে কর্মরত ব্যক্তিরা এইচআইভি পজিটিভ, তখন কেউ থাকেন আবার কেউ উঠে চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − seven =