কলকাতা : হিন্দুদের আর্তনাদ তদের কান অবধি পৌঁছায় না কারণ রাজ্যের শাসক দল আর তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার লোভে মৌলবাদী তোষণে ব্যস্ত। সোমবার এই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার আর তার প্রশাসন বর্তমানে বধির হয়ে ব’সে আছে।
শুভেন্দুবাবু সোমবার এক্সবার্তায় লিখেছেন, “উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাসুদেবপুর সুভাষনগর এলাকায় বিধান মজুমদার ওনার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটির উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁদের বাড়িটি যাতে মুসলিমদের বিক্রি করে তাঁরা অন্যত্র চলে যান।
বিধান বাবু চাপের কাছে নতি স্বীকার না করায় অবশেষে তার পরিবারটিকে রিতিমত ভয় দেখানো হচ্ছিল। ওই এলাকা থেকে আজ খবর পাওয়া যায় যে, আজ সকাল সাতটা নাগাদ হঠাৎই তার বাড়িতে এলাকার শাহজাহান, সিদ্দিক মাষ্টার, রশিদ, সাদ্দাম সহ বেশ কিছু দুষ্কৃতী দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
ঘরদোর ভাঙচুর, সোনা, টাকা পয়সা, আসবাবপত্র সব লুঠ করা হয়। বিধান বাবু তার ছয় বছরের শিশু সন্তান সহ পরিবার সমেত প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছেড়ে দুরে একটি জমিতে আশ্রয় নেন।
পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে হিন্দুদের অবস্থা বাংলাদেশের মতো হয়ে উঠছে। পুলিশ, প্রশাসন রাজনৈতিক দলদাসত্বে ব্যস্ত ও রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হিন্দুদের আগামীদিনে নিজ ভূমে পরবাসী হওয়ার পথ ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে।
আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (আইপিএস), রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার (আইপিএস) ও উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক; সুরেন্দ্র কুমার মিনা (আইএএস) কে অনুরোধ করবো এই খবরের সত্যতা যাচাই করে, প্রশাসনিক সাহায্যের মাধ্যমে উক্ত হিন্দু পরিবারকে নিজ বাস্তুতে পুনর্বাসিত করার ব্যবস্থা করে তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই পরিবারের সাথে আছে ও সব রকম সহযোগিতা করছে।”