‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের সাফল্যে উত্সাহিত হয়ে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এবার অ্যাপ নির্ভর বাইক পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। শীঘ্রই এই অ্যাপ চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপের মাধ্যমেই বাইক ট্যাক্সি বুক করার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি নতুন একটি অ্যাপ তৈরির কথাও ভাবছেন পরিবহন কর্তারা। প্রথম ধাপে কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন এবং দমদম বিমানবন্দরের মতো শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা শুরু করা হবে। ধাপে ধাপে শহরের অন্যান্য এলাকা ও জেলাতেও সরকারি বাইক অ্যাপ পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক মাস আগেই ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ মারফত ট্যাক্সি পরিষেবা শুরু করেছে পরিবহন দফতর। তাতে যাত্রীদের মধ্যে তো বটেই চালকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া মিলেছে। বেসরকারি সংস্থার তুলনায় চালকদের কাছ থেকে অনেক কম টাকা নেওয়ায় বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেক গাড়ি চালকও ‘যাত্রী সাথীতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। অন্যদিকে সাত লক্ষের বেশি মানুষ ওই অ্যাপ ব্যবহার করছেন বলে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন। এদিকে বেসরকারি অ্যাপ ক্যাবের পাশপাশি বেসরকারি বাইক অ্যাপ নিয়েও অভিযোগের অন্ত নেই। চালকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া চান বলে অভিযোগ।রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী বেসরকারি সংস্থার তুলনায় কম টাকায় অ্যাপ বাইক পাবেন যাত্রীরা। সঙ্গে ঠিক করা হয়েছে, যদি কোনও বাইকের চালক পর পর তিনটি বুকিং বাতিল করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এই বাইকের ন্যূনতম ভাড়া কুড়ি টাকা করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে তিন কিলোমিটারের কম যাত্রা পথের জন্য বাইক ট্যাক্সি বুক করা যাবেনা।
অ্যাপ নির্ভর বাইক পরিষেবা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বহু যুবক বাইক ট্যাক্সিকে জীবিকা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। কলকাতায় প্রায় ১৫ হাজার বাইক চালক অ্যাপ নির্ভর সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যিক পরিবহণে যুক্ত। এ ছাড়াও আরও ১ লক্ষ ১০ হাজার বাইকচালক বিভিন্ন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে যাতে এরা কাজ করতে পারেন সে ব্যপারে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহন দফতর। এদের সবাইকে বাণিজ্যিক লাইসেন্স নিতে হবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।অ্যাপ নির্ভর বাইক ট্যাক্সি মালিকদের বাণিজ্যিক লাইসেন্স দিতে পরিবহণ দফতর রাজ্য জুড়ে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করছে। মাত্র এক হাজার টাকায় মিলছে লাইসেন্স।