বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পরও প্রশ্ন উঠছিল, আকাশ দীপের টেস্ট কেরিয়ার আদৌ এগোবে তো? চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে আইপিএলে তাঁকে শুরুর দিকে পায়নি লখনউ সুপার জায়ান্টস। এত চোট প্রবণ হলে, টেস্ট কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠারই কথা। ইংল্যান্ড সফরে মুকেশ কুমার নাকি আকাশ দীপ, কে স্কোয়াডে থাকবেন, এই নিয়েও চর্চা চলছিল। অবশেষে আকাশ দীপকেই বেছে নেওয়া হয়। মুকেশ কুমার ছিলেন ভারত এ দলের স্কোয়াডে। ভরসার মর্যাদা রাখলেন আকাশ দীপও। কেরিয়ারের প্রথম ফাইফার। সাবাশি মিলল বুমরার থেকে।
হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। লিডসে সুযোগ মেলেনি আকাশ দীপের। এজবাস্টনে একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে ভারতীয় দল। ওয়ার্কলোড ম্যানেজের কারণে বিশ্রাম দেওয়া হয় জসপ্রীত বুমরাকে। তাঁর পরিবর্তে একাদশে আকাশ দীপ। বুমরার অভাব ঢাকা সহজ নয়। বাড়তি চাপ ছিল আকাশ দীপের উপর। শুরুতে তা না নজরেও পড়ে। তবে প্রথম স্পেলেই এক ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি প্রস্তুত।
এজবাস্টনের প্রথম ইনিংসে মহম্মদ সিরাজ নিয়েছিলেন আধডজন উইকেট। চার উইকেট নিয়েছিলেন আকাশ দীপ। গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন তিনিই। হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথের ৩০৩ রানের পার্টনারশিপ না ভাঙলে ম্যাচে অনেক কিছুই হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত আকাশ দীপ। নিলেন কেরিয়ারের প্রথম ফাইফার। বোলিংয়ে ভারতের জয়ের নায়ক। যাঁর জায়গায় সুযোগ, সেই জসপ্রীত বুমরাই পিঠ চাপড়ে দিলেন আকাশ দীপের। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!