নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ইন্টারনেটে সেক্সটরশন স্ক্যামে মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি জালিয়াতির শিকার হন, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারে এমন দাবি উঠে এল শনিবার। ইন্টারনেটের যুগে নানাবিধ স্ক্যাম থেকে কী ভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, তাই নিয়ে বাঁকুড়া সাইবার থানার তরফ থেকে বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ে যুবক-যুবতীদের বিশেষ পাঠ দেওয়া হয়। সেখানে উঠে এল সেক্সটরশন, যৌনতাকে ব্যাবহার করে ব্ল্যাকমেল করে পকেট খালি করে দেওয়ার জালিয়াতি।
একটি সুন্দর ছবি লাগানো প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর হঠাৎ করে ভিডিও কল। কলের ওপার থেকে আপনার উন্মুক্ত ছবি বা ভিডিও চেয়ে অশালীন আবদার। আবেগঘন হয়ে সেই আবদারের জালে পা দিলেই আপনার ছবি বা ভিডিও পৌঁছে যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের কাছে, ব্যস তারপর শুরু হবে ব্ল্যাকমেল করা। মুখ রক্ষার কথা ভেবে ধ্বংস হয়ে যাবে মানসিক শান্তি। চাপে পড়ে নষ্ট হবে অর্থ। এটাকেই বলে সেক্সটরশন’।
বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ সুরাল বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সাইবার ব্রাঞ্চের তরফ থেকে বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি বিশেষ সচেতনতামূলক সেমিনারের অনুরোধ আসে, সেই প্রস্তাব আমরা তৎক্ষণাৎ গ্রহণ করি। সাইবার সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সামাজিক মাধ্যমে অজানা ব্যক্তির বন্ধুত্বের বাড়ানো হাত এড়িয়ে চলতে হবে, না জেনে বুঝে যে কোনও লিংকে ক্লিক করা যাবে না, লোভে পড়ে টাকা গ্রহণ করার জন্য নিজের ইউপিআই দিয়ে অন্যের পাঠানো স্ক্যানারে স্ক্যান করা যাবে না।’ এছাড়াও বহু ডিজিটাল স্ক্যাম নিয়ে কথা বলা হয় এদিন। বাঁকুড়া সাইবার থানা থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই আধিকারিক।