ব্যারাকপুর: রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট মিটেছে সম্প্রতি। বুধবার ফলপ্রকাশের পর থেকেই শুরু অশান্তি। জগদ্দলের মেঘনা শ্রমিক লাইনে বিজেপির বুথ এজেন্ট সুনীল উপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজির অভিযোগকে ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। অভিযোগ, পরপর দুটি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। গভীররাতে ভাটপাড়ার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা শ্রমিক লাইন এলাকা বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়রা জানান। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলে ভাটপাড়ার বিধায়ক পবনকুমার সিং। বিজেপির বুথ এজেন্ট সুনীল উপাধ্যায় বলেন, ‘রাত ২টো ১০ নাগাদ প্রথম বোমা পড়ে। সাত মিনিট বাদে আর একটি বোমার শব্দ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। বোমার বিকট আওয়াজে আশেপাশের লোকজন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসেন।’ তাঁর দাবি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী হওয়ায় ও পুরভোটে বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্যই বোমাবাজি করা হয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
স্থানীয় বাসিন্দা নন্দিনী দেবী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। বোমার শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছে। খুব আতঙ্কে রয়েছি।’ বোমাবাজি নিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের নমিত সিং ও বিক্কি যাদবের দলবদল গঙ্গার পাড় দিয়ে এসে দলীয় বুথ এজেন্টের বাড়ির সামনে বোমা মেরেছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অভিযোগ দায়ের করা হবে। NIA তদন্তের জন্য আবেদন করা হবে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের দাবি, বদনাম করার জন্য তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।