ব্যারাকপুর : কাঁচড়াপাড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবোধ রায় সরণির কালীনগরে রবিবার বেলায় বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় লোহা লক্কর ব্যবসায়ী রঘু রায়ের গোডাউনে এই বিষ্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম দুই বাতিল জিনিসপত্রের ফেরিওয়ালা কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে বোমা বিস্ফোরনের ঘটনায় আতঙ্কিত কালীনগরের বাসিন্দারা।
গোডাউন মালিকের মেয়ে অনিতা কৈরী জানান, এদিন বেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত মাকে বাড়ির গেটের সামনে বসিয়ে ওষুধ খাওয়াচ্ছিলেন। ঠিক তখন তিনি একটা বোমা ফাটার বিকট আওয়াজ শুনতে পান। তৎক্ষণাৎ তিনি অসুস্থ মাকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। অনিতা দেবীর দাবি, পরপর তিনটি বোমা ফাটার আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বোমা ফাটার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীজপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটা তাজা বোমা উদ্ধারও করেছে। বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তবে পুলিশ কমিশনার খুব সক্ষম ব্যক্তি।
আশা করা যাচ্ছে, ঘটনার দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হবে। এদিকে ঘটনার পর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, চাকদা থেকে নিয়মিত মালপত্র বিক্রি করতে কালীনগরে এই ‘ভাংরি দোকানে’ আসেন দুই মাঝবয়সি ব্যক্তি। এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তারা বাতিল জিনিসপত্রের সামগ্রী নিয়ে ওই দোকানে বেচতে আসেন। মালপত্র বাছাই করার সময় নাড়াচাড়া হতেই কৌট জাতীয় জিনিস বিকট শধে ফেটে ওঠে। সঞ্জয় অধিকারী নামে একজন ফেরিওয়ালা ডান হাতে গুরুতর আঘাত পান। আরেকজন বিধান দাস অল্প-বিস্তর আহত হয়েছেন। তারা দু’জনেই কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বিস্ফোরণে জখম দু’জন কোথা থেকে মালপত্র এনে ওই ভাংরি দোকানে বিক্রি করতে এসেছিল, তা খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে। বিকেলের দিকে ওই ভাঙাচোরা লোহা-লক্কর মজুত থাকা ওই গোডাউনে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায় সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড।