পঞ্জাবে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) বিরোধী শক্তির মুখ হয়ে উঠতে চাইছে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই পঞ্জাবে ক্ষমতা দখলের পর একে একে অন্যান্য রাজ্যে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে আপ। এরই মাঝে বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওযালের বাসভবনের সামনে বিজেপি এবং পুলিশের হাতাহাতি হয়। তারপরই আপের বর্ষীয়ান নেতা মণীশ সিসোদিয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। তিনি বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেছেন যে, বিজেপি অরবিন্দ কেজরিওযালকে “মারতে” চায়। কারণ তাঁরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আপকে হারাতে পারেনি। তাঁর আরও সংযোজন যে, রাজনীতি একটি অজুহাত মাত্র। এটি একটি পরিষ্কার ফৌজদারি মামলা।
ये देखिए कैसे भाजपा के गुंडे अरविंद केजरीवाल जी के घर का गेट तोड़कर अंदर घुसने की कोशिश कर रहे हैं।
भाजपा की पुलिस आराम से खड़ी है।
ये अरविंद केजरीवाल को मारने की साजिश है।#BJPKeGunde pic.twitter.com/06nHkLsLwb
— Vikas Yogi (@vikaskyogi) March 30, 2022
এই ঘটনার ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে থাকা ব্যারিকেডের সামনে বিজেপির পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড হাতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন কর্মীরা এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অপমানের নিন্দা করছিলেন। তাঁদের মধ্যে কাউকে আবার নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে যেতেও দেখা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপি যুব মোর্চার প্রায় ১৫০-২০০ জন বিক্ষোভকারী মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান সকাল ১১:৩০ টা নাগাদ। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য। পুলিশ দাবি করেছেন যে, তারা সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন এবং ৭০ জনকে তারা আটক করেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পণ্ডিতদের নিয়ে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এই ছবি নিয়ে সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্তব্যের বিরোধিতায় তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। সেই সময়ই কেজরিওয়ালের বাসভবনের সামনে হাতাহাতি হয় বিজেপি কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে। বিজেপি কর্মীরা কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি এই ছবিতে দেখানো কাশ্মীরি হিন্দুদের ‘গণহত্যার’ মজা করেছেন।
কেজরিওয়ালের বাসভবনে ভাঙচুর এবং হিংসার ঘটনায় আপের কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ বিজেপি নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন অবধি পৌঁছোতে দিয়ে তাঁদের মদত দিয়েছে।