দিনের শুরু দেখে সবসময় শেষটা বোঝা যায় না। ইডেন গার্ডেন্সে বাংলা বনাম মুম্বই ম্যাচই যেমন। দিনের শুরুতে অ্যাডভান্টেজ ছিল বাংলা। দিনের শেষে ম্যাচের রাশ মুম্বইয়ের হাতে। এ মরসুমের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার অন্যতম প্রতিপক্ষ আবহাওয়া। এই ম্যাচেও তার ছাপ পড়ার সম্ভাবনা ছিল। গত দু-তিন ধরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। এ দিনও মন্দ আলোর কারণে নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হয়েছে। পিচ এবং পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছেন বাংলার পেসাররও। খেই হারাল শিবম দুবের ‘বাজবলে’। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায় ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ান মুম্বই অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। এই ম্যাচে নেতৃত্বে শিবম দুবে। এ মরসুমেই রঞ্জি অভিষেক হয়েছে বাংলার পেসার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, মহম্মদ কাইফদের। দুই পেসারই ধারাবাহিক নজর কাড়ছেন। মনোজের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুতই সঠিক প্রমাণ করে বাংলার পেস আক্রমণ। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান যোগ করে মুম্বই। চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পর ফেরা পৃথ্বী শ সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। ৫৮ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফেরান সূরজ ও অঙ্কিত মিশ্র। অল্প সময়ের ব্যবধানে জোড়া ধাক্কা সূরজ ও ঈশান পোড়েলের। ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল মুম্বই। এরপরই বিধ্বংসী ব্যাটিং সূর্যাংশ শেগড়ে ও শিবম দুবের। মুম্বই অধিনায়ক শিবমকে ফেরান মহম্মদ কাইফ। ৭৩ বলে ৭২ রানে ফেরেন শিবম। সূর্যাংশ ৭৬ বলে ৭১ রানে ফেরেন। এই জুটিই বাংলার থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রথম দিন খেলা হয়েছে ৭৫ ওভার। ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তুলে নিয়েছে মুম্বই। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন তনুশ কোটিয়ান (৫৫) ও অথর্ব অঙ্কোলেকর (৪১)। ওভার প্রতি ৪.৪০ রান তুলেছে মুম্বই। সূরজ ৩ উইকেট নিলেও বাংলাকে চালকের আসনে বলা যায় না। দ্বিতীয় দিন যতটা দ্রুত সম্ভব ৪ উইকেট নেওয়াই লক্ষ্য বাংলার।