কলকাতা: সার্টিফিকেট দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী, দলের নেতা। আর তারপরেই সিনেমাহল মুখী বঙ্গ বিজেপি। সিনেমার নাম ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’।
মঙ্গলবারই বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলসের’ প্রশংসা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। দলীয় সাংসদদের বার্তা দিয়েছেন, সিনেমাটি সমর্থন জানানোর জন্য। এর আগে সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তার পরই বঙ্গ বিজেপির মধ্যে হুড়োহুড়ি। সবাই ছুটছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে। মঙ্গলবার স্বভূমিতে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা নেতৃত্ব। দলের যুব মোর্চা অবশ্য আগে থেকেই এগিয়ে। যুব নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই দল বেঁধে গিয়ে দেখে এসেছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামীরাও মঙ্গলবার বিকেলে সিটি সেন্টারে গিয়েছেন সিনেমাটি দেখতে। একটি গোটা বাসে করে শুভেন্দু, মিহির সহ অন্যান্য পদ্ম নেতারা যান সিনেমাটি দেখতে।
পদ্ম শিবিরের বঙ্গীয় নেতারা এই সিনেমা ঘিরে বেশ উচ্ছ্বসিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, হিন্দুত্বের নতুন রসদ খুঁজে পাচ্ছেন এখন তাঁরা এই সিনেমায় । সমস্ত বিজেপি কর্মীদের এই ছবি দেখার জন্য বলা হচ্ছে বলেও দলীয় সূত্রে খবর । বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত এই সিনেমাটিতে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীর উপত্যকার সামাজিক পরিস্থিতি। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের যেভাবে নিজেদের ভিটে মাটি থেকে উৎখাত করা হয়েছিল, সেই সব দৃশ্য নিজের সিনেমায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচারও দেখানো হয়েছে এতে।
সিনেমাটি নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি সাম্প্রতিককালে। এর বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। এদিকে পাল্টা কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাতেও ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতাদের পাল্টা কটাক্ষ, কংগ্রেস কাশ্মীরের ইতিহাস জানে না। এদিকে দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত দ্য কাশ্মীর ফাইলস করমুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।