এ বার নকআউটও শুরু হল দুর্দান্ত। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়। গুজরাটকে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলা। জোড়া সেঞ্চুরি বাংলা ইনিংসে। তাও আবার রান তাড়ায়। গ্রুপ পর্বে তামিলনাডুর কাছে হারায় পয়েন্ট সমান থাকলেও সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলা। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর কোনও অঙ্কের সুযোগ ছিল না। জিততেই হত। জিতলও বাংলা।
মরসুমের শুরুতেই বাংলা শিবিরে হতাশা ছিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফল ভালো হয়নি। নজর ছিল বিজয় হাজারে ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে। এখনও অবধি লক্ষ্যে সফল বাংলা দল। তবে ট্রফি না জেতা অবধি স্বস্তি নেই। এর জন্য এখনও তিনটে ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাকে। তবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাটের মতো শক্তিশালী দলকে হারানোয় আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে বাংলা শিবিরের। বোলিং আক্রমণ পুরো টুর্নামেন্টেই নজর কেড়েছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের মতো মঞ্চে সেঞ্চুরিতে ভরসা দিলেন অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। লক্ষ্য ছিল প্রতিপক্ষকে অল্প রানে বেঁধে রাখা। বোলিংয়ে শুরুটাও ভালো হয়। অনবদ্য ছন্দে থাকা উরভিল প্যাটেলকে রান আউট করেন বাংলা অধিনায়ক। তবে প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের সেঞ্চুরি এবং সৌরভ চৌহান ও উমঙ্গ কুমারের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৩-র বড় স্কোর গড়ে গুজরাট।
রান তাড়ায় শুরুতেই হাবিব গান্ধীর উইকেট হারায় বাংলা। আর এক ওপেনার অভিষেক পোড়েল ৪৭ রান করেন। এরপর আর বাংলাকে সমস্যায় পড়তে দেননি অধিনায়ক সুদীপ ঘরামি ও অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। দু-জনেই অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন। এর মধ্যে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ। ৮৮ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক সুদীপ ১৩২ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত। ৪ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় বাংলা। সদ্য জাতীয় দলের হয়ে নজরকাড়া অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল খুব একটা দাগ কাটতে পারেননি বাংলার বিরুদ্ধে।