সর্দি-কাশি হলে আগেকার দিনে বাচ্চাদের তুলসিপাতার রস, মধু দিয়ে ফুটিয়ে খাওয়ানো হত। তাতে উপকারও মিলত। তুলসি পাতার হরেক গুণ, রয়েছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। কিন্তু তুলসির বীজ, সেটা সম্পর্কে জানেন কী? গরমের দিনে শরীর সুস্থ রাখতে ভরসা রাখতেই পারেন তুলসীর বীজের ওপর।
কুলফি, ফালুদার স্বাদ বাড়াতে এই বীজ ব্যবহার করা হয়। অনেকেই বোধ হয় সেই খাবার চেখেও দেখেছেন। তবে এই বীজের গুণাগুণ অনেকেরই অজানা। জল কিংবা দুধে ভিজিয়ে রোজ নিয়ম করে এই বীজ খাওয়া যেতে পারে।
সারা বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা কষ্ট পান, ওষুধ, আয়ুর্বেদ করেও যাঁদের কাজ হয় না, তাঁরা তুলসীর বীজ গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। গ্যাসের ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
গরমের দিনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। রোজের খাদ্যতালিকায় তুলসীর বীজ রাখলে পেট ঠান্ডা থাকবে। পেটের সমস্যাও দূর হবে।
জলে ভিজিয়ে রাখা তুলসীর বীজ নিয়মিত খেলে হজম ভাল হয়। এই বীজে ভরপুর মাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই জল খেলে পেট অনেক ক্ষণ পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। যাঁরা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তাঁরাও রোজের ডায়েটে তুলসীর বীজ ভেজানো জল রাখতেই পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই পানীয় সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যেও এই পানীয় কিন্তু বেশ উপকারী। তুলসীর বীজে থাকে ডায়েটেরি ফাইবার, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সাধারণ সর্দি এবং ফ্লু জাতীয় সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতেও এই বীজের ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, পেশীতে টান পড়লেও এই বীজ খেলে আরাম পাওয়া যায়।
কোথায় পাবেন- অনলাইনে বেসিল সিড বা তুলসির বীজ অর্ডার করতে পারেন। শপিং মল, ফুড স্টোরেও এটা পাবেন।