বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় প্রকাশ্যে শুটআউট। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন শাসকদল আওয়ামি লিগের (Awami League) দাপুটে নেতা। গুলিতে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে আরও এক পথচারী পড়ুয়া। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও র্যাবের দাবি, শুটআউটের (Shoot Out) ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ঢাকায় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে শাসকদল আওয়ামি লিগের নেতা নিহত হয়েছেন। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ১০/১২টি গুলিতে লিগ নেতার গাড়িচালকও আহত হন। কিন্তু ওই সময় ঘটনাস্থল দিয়ে রিকশায় চেপে যাওয়া সামিয়া আফরিন প্রীতি (২৪) নামের এক তরুণীও নিহত হয়েছেন। সামিয়া আফরিন প্রীতি ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী। গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্নাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঢাকার শাহজাহানপুর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অস্ত্রধারীরা মোটরবাইকে এসে আওয়ামি নেতার গাড়ি লক্ষ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তখন গাড়ির ভিতর বসা আওয়ামি লিগ নেতা জাহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হন চালক মুন্নাও। পাশ দিয়ে যাওয়া রিকশায় বসা প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর পড়ে যান। এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। রাত ১১টায় স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ তিনজনকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, খুনিদের ধরতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিহত সামিয়া প্রীতির বান্ধবী সুমাইয়া জানান, তাঁরা রিকশায় তিলপাপাড়া যাচ্ছিল। খিলগাঁও রেলগেটের কাছাকাছি যাওয়ার সময় পেছনে ১০-১২টি গুলির শব্দ শোনা যায়। তখন রিকশা থেকে নেমে দৌড় দেন তাঁরা। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান প্রীতি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।