ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামতোর্স্কের একটি রেল স্টেশনে (Railway Station) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Missile Attack) চালল রাশিয়া। এই হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে, আহত প্রায় ১০০। মৃতদের মধ্যে চার জন শিশুও রয়েছে। ওই স্টেশন দিয়েই ইউক্রেনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে রাশিয়া এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Zelensky) কড়া ভাষায় এই হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ রাশিয়া সমস্ত সীমা অতিক্রম করছে। তাদের শাস্তি না দিলে তারা থামবে না।’ ইউক্রেনে সমারিক অভিযানের ৪৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সাফল্য পায়নি রাশিয়া। উল্টে মুখোমুখি লড়াইয়ে ইউক্রেনের সেনার শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে ইউক্রেনকে আরও বেশি পরিমাণে অস্ত্র সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেটো।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে নেটোর সদর দফতরে যান। নেটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকের পর কুলেবা বলেন, ‘বিদেশি দখলদারদের ইউক্রেন থেকে তাড়ানোর জন্য আমাদের এখন একটাই চাহিদা— অস্ত্র।’
ইউক্রেন রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রামতোর্স্ক শহরের ট্রেন স্টেশনে দু’টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়ার রকেটে তছনছ হয়ে গিয়েছে স্টেশনটি। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩৯ জন ও আহতের সংখ্যা শতাধিক। এই রকেট হামলা প্রসঙ্গে রাশিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রাশিয়া অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে, সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে না তাঁদের সেনাবাহিনী।