বৃহস্পতিবার ভোররাতে আচমকা আগুন। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে চেতলার নন্দীগ্রাম বস্তি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১০০ ঝুপড়ি। এর নেপথ্যে অন্তর্ঘাতকেই দায়ী করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানান প্রকৃত সত্য জানতে ফরেনসিক পরীক্ষা হবে।
চেতলার বন্দর এলাকার শীতলা লকগেটের কাছে নন্দীগ্রাম বস্তি। বস্তিতে প্রায় ১০০ পরিবারের বসবাস। বৃহস্পতিবার ভোররাতে যখন সকলেই গভীর ঘুমে তখনই অগ্নিকাণ্ড। ফলে লোকজন টের পেয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার আগেই লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পলে ঘিঞ্জি বস্তির এক থেকে অন্য ঘরে। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে বস্তি। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে। এর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। ঘটনার নেপথ্যে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করেন তিনি। বলেন, ‘অনেকে এই জায়গাটা খালি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এভাবে গরিব মানুষকে সরানো যায় না। এই জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না।’ একই সঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘কীভাবে এভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেল, তার কারণটা জানা দরকার। ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।’
এদিন সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,বস্তিটা শশ্মানের আকার নিয়েছে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পোড়া আসবাব থেকে শীতের পোশাক। মেয়র বস্তিবাসীদের যথাযোগ্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শীতের দিনে আশ্রয় থেকে সর্বস্ব হারিয়ে বস্তিবাসীর চোখে জল। তিলতিল করে টাকা জমিয়ে কেনা আসবাব, কারও সামান্য সঞ্চয় সবই অগ্নিগর্ভে চলে গিয়েছে। সেই হাহাকার বস্তিজুড়ে।