আসানসোলে উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত তৃণমূল সন্ত্রাসে পাণ্ডবেশ্বরে জিতলেও এবার সফল হবে না, দাবি বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন, পাণ্ডবেশ্বর: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত সব নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করে পাণ্ডবেশ্বরে জিতেছে। তবে এবার তৃণমূল সফল হবে না বলে দাবি করলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার কনভেনার রূপক পাঁজা।
প্রসঙ্গত, বিজেপির প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পাণ্ডবেশ্বরে। এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করছে তৃণমূল অভিযোগ বিজেপি নেতার। অপরদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দাবি, বিজেপি হালে পানি পাচ্ছে না, সে কারণেই নানান ভাবে গিমিক ছড়াচ্ছে। তিনি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না।’
১৩ মে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। প্রচারকে ঘিরে মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। শনিবার এরকমই অভিযোগ উঠল পাণ্ডবেশ্বরে। এদিন বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিভিসি পাড়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনের ভোটপ্রচারে আসেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দিলীপ দে। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলেন। সে সময় সেখানে উপস্থিত হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। ভোটপ্রচারে দিলীপবাবু সহ বিজেপি কর্মীদের তাঁরা বাধা দেন বলে অভিযোগ।
সেই সময় উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করেন এতদিন কোথায় ছিলেন? ভোটের সময় কেন এসেছেন, ১০০ দিন প্রকল্পের টাকা, আবাস যোজনার টাকা কেন আটকে রেখেছেন? আগে জবাব দিন। ইচ্ছাকৃত ভাবে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার জন্যই তৃণমূল কর্মীরা এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। দলের পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার কনভেনার রূপক পাঁজা রবিবার বলেন, ‘আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সব নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করে পাণ্ডবেশ্বরে জিতেছে। এবারও তাঁরা সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই আমাদের নেতা কর্মীদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবে এবার তৃণমূল সফল হবে না।’ মানুষ এর জবাব দেবে বলে দাবি করেন রূপকবাবু।
বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডিভিসি পাড়ার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মধু ঘোষের দাবি, বিজেপি বহু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করে না। তাই শনিবার স্থানীয় মহিলারা বিজেপি নেতা কর্মীদের সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তর দিতে না পারার কারণে মহিলারাই বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন মধুবাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =